সিবিআই নির্দেশ অমান্য করেই উত্তরবঙ্গে ফিরলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী

সিবিআই নির্দেশ অমান্য করেই উত্তরবঙ্গে ফিরলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী

কলকাতা: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নিজের নাম জড়িয়ে ইতিমধ্যেই মহা ফাঁপরে পড়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। ইতিমধ্যেই গত সপ্তাহে তাঁকে এই দুর্নীতি মামলা নিয়ে লাগাতার সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। পাশাপাশি আবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষিকার চাকরি খোয়াতে হয়েছে মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকেও। সিবিআই সূত্রে খবর আগামী দিনে আরও কয়েকবার শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা সিবিআই আধিকারিকদের। আর তাই তাঁকে কলকাতা না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করেই মঙ্গলবার সকালে ফ্লাইট ধরে উত্তরবঙ্গে ফিরে গেলেন পরেশ অধিকারী। মঙ্গলবার সাতসকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছান মন্ত্রী। সেখান থেকে সকাল ৯:১০ নাগাদ এয়ার এশিয়ার বিমান ধরে পৌঁছে যান বাগডোগরা। বিমানবন্দরে আবার তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন দলীয় নেতা এবং কর্মীরা। সেই পাট চুকিয়েই তড়িঘড়ি গাড়িতে চেপে বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি।

 উল্লেখ্য, এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীড় নানা কর্মকান্ডে কার্যত উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। গত সপ্তাহের শুরুতেই তাঁকে সিবিআই আধিকারিকদের সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ বারবার উপেক্ষা করেছেন মন্ত্রী। এমনকি মাঝে একদিন তিনি কার্যত নিখোঁজ ছিলেন বলে খবর। এমতাবস্থায় সিবিআই আধিকারিকরা যখন তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার নোটিশ জারি করে তখন কার্যত বাধ্য হয়েই কলকাতায় এসে সিবিআই আধিকারিকদের দপ্তরে হাজিরা দেন প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। গত সপ্তাহেই পরপর তিনবার তাকে সিবিআই দপ্তর হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার শেষবার সিবিআইয়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন পরেশ অধিকারী। সেদিন তাকে টানা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিজাম প্যালেসে এবং সেইসঙ্গেই তাঁকে কলকাতা না ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে খবর। কিন্তু সেই নির্দেশ কার্যত উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার তিনি কলকাতা ছেড়ে ফের উত্তরবঙ্গে ফিরে গেলেন বলে খবর। এতে আগামী দিনে তাঁর বিরুদ্ধে আরও কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেন সিবিআই এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 17 =