কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন বেলাগাম হচ্ছে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের আক্রমণ। উত্তপ্ত বাদানুবাদ মাঝে মধ্যেই ছাড়িয়ে যাচ্ছে শালীনতার সীমা। সেই আবহেই এবার বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁকেও ব্যক্তিগত আক্রমণে বিঁধলেন তৃণমূল নেতা সুদীপ রাহা।
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ’র স্ত্রী সুজাতা মন্ডল কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এদিন সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই সৌমিত্র খাঁকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন সুদীপ রাহা। তাঁর কটাক্ষ, “যে নিজের ঘরের বউ সামলাতে পারে না, সে কি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করবে!” এখানেই শেষ নয়,সৌমিত্র খাঁ’র উদ্দেশ্যে এরপর তাঁর পরামর্শ,”আগে ঘর,বউ সামলান তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে আসবেন।”
এদিন আলিকষা ১ নম্বর অঞ্চলে এক প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুদীপ রাহা। সেখান থেকেই গেরুয়া শিবিরকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পান নি সদ্য শাসকদল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীও। বিজেপিতে যোগ দিয়েই কেন্দ্রীয় নিরপত্তা পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তাকে ব্যঙ্গ করে সুদীপ রাহা বলেছেন, “আমাদের বিধায়কদের কোনও সিআইএসএফ (Cetral Industrial Security Force) লাগে না।” ক্ষমতা থাকলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ছাড়া দাঁতনে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করে দেখানোরও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, সম্প্রতি ভোটের মুখে দলবদলের হিরিক দেখা দিয়েছে শাসক দলের অন্দরে। কিন্তু দলীয় নেতাদের পদত্যাগ কিংবা দলবদলকে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ সুদীপ রাহা। তাঁর কথায়, “আমাদের দল নেতাদের নিয়ে তৈরি নয়।” এদিনের দলীয় সভায় সুদীপ রাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান, কেশিয়ারির বিধায়ক পরেশ মুর্মু, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দানের পরপরই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ’র পত্নী সুজাতা মন্ডল। বিজেপিতে তাঁকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছিল না বলেই তিনি দলত্যাগ করেছেন বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। দলবদলের সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশও পাঠিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ।