সাড়ে ১৪ লাখ দিয়েও শিক্ষকের চাকরি মেলেনি, দলীয় নেতার বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেতার

সাড়ে ১৪ লাখ দিয়েও শিক্ষকের চাকরি মেলেনি, দলীয় নেতার বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল নেতার

হরিশ্চন্দ্রপুর: স্কুল সার্ভিস কমিশনে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ দুর্নীতিতে তোলপাড় রাজ্য৷ অর্থের বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ভুড়ি ভুড়ি৷ সেই টোপে পা দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেতা৷ উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে  তাঁর থেকে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন যুব তৃণমূল এক নেতা৷ এই ঘটনাকে প্রকাশ্যে আসতেই চরমে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷ শোরগোল বেধেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাদলিচক এলাকায়। 

আরও পড়ুন- জিটিএ নির্বাচনে ‘কামাল’ অনিত থাপার দলের, প্রথমবার খাতা খুলল তৃণমূল

জনৈক মহিদুর রহমান ওরফে বাদলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তথা ওই এলাকার যুব তৃণমূলের সভাপতি আরজাউল হক। তিনি জানান, টাকা নেওয়ার পর বাদলকে বার বার ফোন করেও সাড়া মেলেনি৷ 

তৃণমূল নেতা আরজাউল হকের অভিযোগ, ২০১৯ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরি পেতে  সুলতাননগরের বাসিন্দা বাদলকে তিন দফায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও চাকরির নিয়োগপত্র তাঁর হাতে এসে পৌঁছয়নি৷ একটা টাকা ফেরতও পাননি। বরং টাকা ফেরত চাইলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে৷ এমনটাই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা৷ আরজাউলের দাবি, মহিদুরও তৃণমূলের সদস্য৷ দলের কাজ করতে গিয়েই তাঁর সঙ্গে পরিচয়৷ 

চাকরি নিয়ে বিতর্কে মাথাচাড়া দিতেই কটাক্ষ করতে ছাড়ল না বিজেপি। দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, ‘‘বাদল নামে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, তিনিও তৃণমূল কর্মী। আসলে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলাটাকে ওঁরা শিল্প বানিয়ে ফেলেছে। এখন নিজের দলের লোকের কাছ থেকেও টাকা নিতে ছাড়ছে না৷’’