কলকাতা: ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ত্রিপুরা অভিযানের সূচনা করে এসেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে ত্রিপুরার ৮ জেলার প্রতিটি ব্লকে দেড় মাসের মধ্যে তৃণমূলের সংগঠন গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে এসেছেন তিনি৷ সেই চ্যালেঞ্জ পূরণ করার দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই এবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ বিপ্লব দেব সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে বুধেই ত্রিপুরায় পা রাখছেন তৃণমূলের মুখপাত্র৷
আরও পড়ুন- পাপড়িচাটের রাজনীতি, মোদীর মন্তব্যের পাল্টা জবাবে ‘স্ন্যাক্স পার্টি’ তৃণমূলের
সোমবার ত্রিপুরায় পৌঁছনোর পরেই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ বিক্ষোভের মুখে পড়েন যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপর রাহারাও৷ এই অবস্থায় কুণাল ঘোষের ত্রিপুরা সফর নিশ্চিত ভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপর হামলার ঘটনাকে জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েছে দল৷ পাশাপাশি এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাবাসীর সমবেদনাও কুড়িয়ে নিতে চাইছে তৃণমূল৷ ইতিমধ্যেই আদাজল ত্রিপুরায় ‘খেলা’ শুরু করে দিয়েছে দেবাংশু, সুদীপ রাহা, জয়ারা।
জানা গিয়েছে, বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছেই যুবনেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন কুণাল ঘোষ৷ দেখা করবেন স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও৷ অন্যদিকে, দু’ সপ্তাহ পর ফের ত্রিপুরা যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর আগে ত্রিপুরায় পথ আরও প্রশস্ত করার কাজ সারবেন কুণাল৷ অভিষেক ত্রিপুরায় যে উন্নয়নের সরকার গড়ার ডাক দিয়েছেন, তা সফল করার দায়িত্ব বর্তেছে কুণাল সহ অন্যান্য নেতাদের কাঁধেও৷
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে বামেরা? মানিক সরকারের মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
প্রসঙ্গত, সোমবার ত্রিপুরায় গিয়ে বাধার মুখে পড়েছিলেন দলের সর্বভাতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ চলন্ত গাড়িতে লাঠির বাড়ি মারে বিজেপি সমর্থকরা৷ লাঠির আঘাতে ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচ৷ দেখানো হয় কালো পতাকা৷ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পৌঁছলে ওঠে গো ব্যাক স্লোগান৷ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘দু, চার দিন আগে ‘অতিথি দেব ভব’র কথা বলছে৷ সেই বক্তব্যের নিদারুণ উদাহরণ দেখলাম। ত্রিপুরার মানুষের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। ত্রিপুরার মানুষ বিচার করবে৷’’