নিজস্ব প্রতিনিধি, অশোকনগর: কাটমানি নিতে গিয়ে পড়লেন হাতানাতে ধরা৷ লাইট পোস্টে তৃণমূল নেতাকে বাঁধল স্থানীয়রা৷ আবাস যোজনায় বাড়ি পাইয়ে দেবেন। বিনিময়ে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। এভাবেই গরীব এক গৃহ পরিচারিকার টাকা আত্মসাৎ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল স্বঘোষিত এক তৃণমূল নেতা। ওই নেতা প্রাক্তন কাউন্সিলার সিদ্ধার্থ সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে খবর। এদিন টাকা দেওয়ার সময়ে পাড়ার লোকজন স্বঘোষিত ওই নেতাকে ধরে ফেলেন। তার থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেধে রাখেন এবং পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতাকে আটক করে। এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের শক্তিনগরে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শক্তিনগরের বাসিন্দা গৃহ পরিচারিকা শ্যামলী হালদার আবাস যোজনায় গৃহ নির্মাণের জন্য প্রাক্তন কাউন্সিলার সিদ্ধার্থ সরকারের অনুগামী স্থানীয় বাসিন্দা বাদল ব্যাপারীর কাছে নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত বাদল ব্যাপারী তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই মতো এদিন বাদল ব্যাপারীকে ১০ হাজার টাকা দিতে যান তিনি। স্থানীয় ক্লাব তথা পাড়ার লোকজন বিষয়টি জেনে ফেলেন। টাকা নেওয়ার সময় বাদলবাবুর বাড়ি পৌঁছে যান তারা। হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর অভিযুক্তকে বিদ্যুতের খুটিতে বেধে পুলিশে খবর দেন তারা। অভিযুক্তকে উদ্ধার করে অশোকনগর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, গৃহ পরিচারিকা শ্যামলী হালদার তৃণমূল নেতা বাদল ব্যাপারীর বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে সিদ্ধার্থ সরকার জানান, অভিযুক্ত বাদল ব্যাপারী আবাস যোজনায় টাকা নিয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। তবে এমনটা হয়ে থাকলে দল তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে, প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর ও বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস জানান, রাজ্য জুড়ে এভাবেই কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আর দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসব করে মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি খাওয়ার রাস্তা আরও সহজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।