কলকাতা: ফের চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা৷ জামাই-সহ ১২ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশের জালে তৃণমূলের উপপ্রধান। ঘটনাটি বীরভূমের মঙ্গলকোট এলাকার। এই চক্রান্তের পিছনে আর কারও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- SSCদুর্নীতি:পদাতিক এক্সপ্রেস থেকে মাঝপথে মেয়েকে নিয়ে উধাও পরেশ অধিকারী
ধৃত পঞ্চায়েত নেতার নাম শেখ হেকমত আলি। তিনি মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান৷ মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে বদরুজ্জোহা নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ১২ জনের কাছ থেকে ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা তুলেছেন উপপ্রধান শেখ হেকমত আলি। কিন্তু, টাকা দিলেও কেউ চাকরি পাননি৷ দীর্ঘদিন অপেক্ষার পরও নিয়োগ পত্র হাতে আসেনি। একাধিকবার এ প্রসঙ্গে হেকমত আলির সঙ্গে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই শেখ হেকমতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের সিদ্ধান্ত নেন বদরুজ্জোহা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত উপপ্রধানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত আত্মীয়৷ তাঁরা সম্পর্কে বেয়াই। ২০১৮ সালে বদরুজ্জোহারের ছেলে গোলাম জসিমের সঙ্গে হেকমত আলির মেয়ের নিকাহ হয়৷ অভিযোগ, বিয়ের পরেই গোলামকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নামে তাঁর বাবার কাছ থেকে টাকা নেন হেকমত। পাশাপাশি আরও অনেকের কাছ থেকেই চাকরির টোপ দিয়ে টাকা নেন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>