কলকাতা: ফেসবুকের ধাঁচে বিজেপিকে কোণঠাসা করার নয়া প্রচার তৃণমূলের। কোন বিপদ বা দুর্ঘটনা হলে ফেসবুকের মাধ্যমে যেভাবে জানানো যায়। কোথায় কতজন সুস্থ আছেন, নিরাপদে আছেন তা চিহ্নিত করে জানিয়ে দেওয়া যায়। একেবারে সেই পদ্ধতিতে তৃণমূলের নয়া আনুষ্ঠানিক স্লোগান নিজেকে বিজেপি’র থেকে সুরক্ষিত চিহ্নিত করুন। প্রচারের এই নতুন কৌশলের মাধ্যমে ভোটের আগে জনমত তৈরীর এক বড়সড় কাজ সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল।
ভোটপ্রচারের এই নয়া কৌশল প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাকের। এখান থেকে যে রিপোর্ট উঠে আসবে তাতেই ঠিক হবে পরবর্তী রণকৌশল। প্রচারের এই নতুন কৌশলের ফলে দুটি লাভ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রথমত বিজেপি বিরোধী মত জানা যাবে। দ্বিতীয়ত বিজেপির যেকোনও ধরণের অত্যাচারের প্রমাণ সামনে আসবে। নতুন এই প্রচারের ক্ষেত্রে সামনে আনা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক, দলিত নিগ্রহ, দাঙ্গার মত ইস্যুগুলি। ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘দিদিকে বলো’ এসব নানা পেজে এই ক্যাম্পেন চালানো হচ্ছে।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিটি দলই নিজের নিজের ঘর গোছানোর প্স্তুতিতে টানটান। এরই মধ্যে রাজ্যের প্রধান দুই যুযুধান দল তৃণমূল ও বিজেপি একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রচারের কৌশল বের করে চলেছে। বড় ছোট কোনও ইস্যুই বাদ পড়ছে না সেই কর্মসূচি খেকে। এরই মধ্যে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বিজেপি। লোকসভার পর যেভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছিল এখন সেই হাওয়ার গতি উল্টোদিকে ঘুরেছে। বিজেপি থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পালা চলছে।
বিজেপির তরফে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব চেষ্টার অবশ্য ত্রুটি রাখছেন না। দলের নেতৃত্বে রদবদল, এলাকার এলাকায় প্রচার সবই তারা করছেন। কিন্তু এই ধরনের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া লড়াই নিয়ে কিছুটা হলেও ধন্দে পড়েছে বিজেপি। এই কর্মসূচির কোনও পাল্টা এখনও পর্যন্ত ভেবে উঠতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ফলে আপাতত শাসকদলের এই চালে বিরোধী শিবির কাত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।