কলকাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন শুরুর মুখেই বিস্ফোরক অডিও ফাঁস হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নন্দীগ্রামের বিজেপির নেতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে যায়। এবার পঞ্চম দফা নির্বাচনের আগের দিন আরো একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এখানে শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলছেন কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের সঙ্গে, এমনই দাবি করছে তারা। এবার এই অডিও টেপের বিরোধিতায় মাঠে নামল তৃণমূল। মমতার ফোনে আড়ি পাতার গুরুতর অভিযোগ করছে শাসকদল।
সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় মন্তব্য করেন, বিজেপি দলটাই হচ্ছে নোংরা এবং অসভ্য দল। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তাদের নোংরামির সংস্কৃতি বিশ্বাস করে না এবং করবে না। কিন্তু বাংলার মানুষের কাছে এই নোংরামীর বিচার চেয়ে আবেদন করেছে তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অডিও ক্লিপ নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয় কারণ এই ভাবে ফোন ট্যাপ করল কারা? প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তার মানে আমাদের দেশের এখন এমন অবস্থা যে কেন্দ্রীয় শাসক দল চাইলে যে কোনো মানুষের ফোন ট্যাপ করতে পারে, এবং সেটি নির্বাচনের কাজে বা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারে। সুখেন্দু বলেন, এর আগে একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা দাবি করে এসেছেন যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে একাধিক নেতা মন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী এই ব্যাপারে গুরুত্ব দেননি। আজকের এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে এইভাবে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংসদদের ফোন ট্যাপ করা হয়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং সাংসদ তথা চুঁচুড়ার প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় এই অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন। অডিও ক্লিপে যে কথাগুলো শুনতে পাওয়া যাচ্ছে তা শুনে বোঝা যাচ্ছে যে শীতলকুচিতে যারা মারা গিয়েছেন তাদের নিয়ে কথা বলছেন দুজনে। একইসঙ্গে মহিলাকণ্ঠ জানাচ্ছেন যে ভালো করে মামলা দায়ের করতে হবে এবং আইনজীবী মারফত মামলা দায়ের করাতে হবে নিজেদের মতো করলে হবে না। অন্যদিকে মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করার কথা বলতেও শোনা যাচ্ছে ওই মহিলা কন্ঠকে। অন্যদিকে পুরুষ কন্ঠ মহিলা কন্ঠে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জানাচ্ছেন যে প্রত্যেকটা বুথে এজেন্ট দেওয়া গিয়েছে এবং তিনি যা নির্দেশ দিচ্ছেন সেই হিসাবে কাজ হবে। মহিলা কণ্ঠ আরো বলছে, সাধারণ মানুষ যাদের ভোট দিতে না পারে সেই কারণে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলেই বাংলা এনপিআর আর ডিটেনশন ক্যাম্প বানাবে, সেই জন্যই যাবতীয় ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা।