TMC-র শক্তির ভরকেন্দ্র ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে: দিলীপ

TMC-র শক্তির ভরকেন্দ্র ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে: দিলীপ

কলকাতা: অভিষেক ইস্যু যেন কিছুতেই থামছে না৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলকে ‘চুপ’ থাকার পরামর্শ দেওয়ার পরও কাজ হয়নি৷ এবার মুখ খুলেছেন মদন মিত্র৷ স্বাভাবিকভাবেই লোফা ক্যাচ হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি৷ তৃণমূলের ঘোলাজলকে আরও ঘুলিয়ে দিতে আসরে নেমে পড়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ সোমবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে দিলীপের দাবি, ‘‘টিএমসিতে পাওয়ার সেন্টারটা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে! আর সেটা অনেকে সহ্য করতে পারছেন না। কোন জায়গায় পুজোটা দেবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এইজন্যই প্রবলেম হচ্ছে।’’

রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মদন মিত্র বলেছেন, ‘‘দলের সভায় গিয়ে অভিযোগ জানাবেন। তৃণমূল ভবনে গেলে শুধু সুব্রত বক্সীকে পাওয়া যায়৷ আর কাউকে পাওয়া যায় না।’’ এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কার্যত মদনের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, ‘‘মদনদা অনেকদিন পরে মনের কথা বলেছেন। পুরানো পলিটিশিয়ান, অনেক উত্থান পতন দেখেছেন, অনেক কষ্ট পেয়েছেন। তাঁর মনের কথা বলার সুযোগ ছিল বলার জায়গা চাই। উনি যার নাম বললেন সুব্রত বক্সীকে বলে কোনো লাভ নেই। ওনার সামনে বলা আর গাছের সামনে বলা একই কথা৷’’

দাবি করেছেন, ‘‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বললেন আসলে সেটা দলের অনেকের মনের কথা উনি বলেছেন।’’ কটাক্ষের সুরে জুড়ে দিয়েছেন, ‘‘এটা ভালো যে একা মন কি বাত হত মোদিজির, এবার অনেকের মন কি বাত শোনার সুযোগ হচ্ছে!’’  প্রকাশ্যে চলতে থাকা বিতর্কের বিষয়ে নেত্রী নিজে কেন সরাসরি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু বলছেন না। এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন৷ দিলীপের কথায়, ‘‘আসলে ওদের পাওয়ার সেন্টারটা সরে যাচ্ছে। নেত্রীর গ্রিপ সরকার এবং পার্টিতে কমে যাচ্ছে। যেভাবে ডায়মন্ড হারবার থেকে সৌমেনবাবুকে সরিয়ে এক ভাইপো কে এমপি করা হল, পরের ইলেকশনে হয়তো একই জিনিস শ্রীরাম পুরে দেখা যাবে। আর সেই জোর কা ধাক্কা ধীরে সে লাগে তাতে কল্যাণ দা বুঝতে পেরেছেন৷ তাই প্রথম থেকে তিনি সিগন্যাল দিচ্ছেন।’’

মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের গোয়া সফর নিয়েও, ‘‘শীতের সময় গোয়া সফরটা খুব ভালই লাগে। সুন্দর পরিবেশ থাকে। দেশ বিদেশি লোক থাকে। অনেকবার যাওয়ার চেষ্টা করছেন গিয়ে কোনো লাভ হচ্ছে না। জানি না কেউ আছে কি না ওনাকে রিসিভ করার জন্য।’’ একই সঙ্গে ট্যাবল বিতর্ক নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেনস ‘‘প্রত্যেকটা বিষয়ে বিতর্ক তৈরি করা ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্মেন্টের একটা ফ্যাশন। আসলে মানুষকে আসল সমস্যা থেকে সরিয়ে দিয়ে মনকে বিভ্রান্ত করার ফ্যাশন।  ট্যাবল কি হবে না হবে ওখানে একটা কমিটি আছে, দিল্লিতে তারা ঠিক করে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে প্রথম থেকে ইনফরমেশন দিয়ে করা উচিত। ওনারা বিতর্ক চান, কাজ চান না। তাই এসব করছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *