মানকুণ্ডু: নন্দীগ্রাম ইস্যু থেকে শুরু করে কাটমানি প্রসঙ্গ, দুর্নীতি, সব প্রসঙ্গেই এদিন চন্দননগরের জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন তার সর্বভারতীয় নামের জন্য। শুভেন্দুর কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস নামেই সর্বভারতীয়, পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কিছুই পায় না। একই সঙ্গে বেকারত্ব এবং সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়েও এদিন অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটা নামেই সর্বভারতীয়। অসমি দাঁড়ালে ২০০ ভোট পায়, ঝাড়খন্ডে দাঁড়ালে ৫০! এই ভিত্তিতে তৃণমূলকে ‘গরুর গাড়ির হেডলাইট’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে জনসভা করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন সে ব্যাপারেও আক্রমণ করে শুভেন্দু এদিন ফের বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলেই ওইভাবে জনসভা থেকে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু বিজেপি সেটা পারে না। যদিও এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাফ লাখ ভোটে হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলে শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, নন্দীগ্রামে পদ্মফুল হাতে যেই দাঁড়াক, মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারবে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে দু’জায়গায় দাঁড়াতে দেবেন না। দাঁড়াতে গেলে এক জায়গাতেই দাঁড়াতে হবে। অন্যদিকে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কেন ছাড়লেন সেই ব্যাপারেও শুভেন্দু বলেন, ২১ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস দল করার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন সেটা এখন আর রাজনৈতিক দল নেই একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। তিনি কর্মচারী হয়ে কোন দলে থাকতে পারবেন না বলে সেই দল ছেড়েছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু।
এদিন বিজেপি নেতা দাবি করে বলেন, এই সরকারকে না তাড়ালে চাকরি হবে না। তৃণমূল জমানায় ৭ বছর এসএসসি-র পরীক্ষা হয়নি। ৪ বছর কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না। সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নেই, পুলিশের রেশন নেই। অন্যদিকে, লকডাউনে চাল চুরি, আমফানের ত্রিপল চুরি হয়েছে। শিল্পীদের কাছ থেকেও কাটমানি নেওয়া হচ্ছে। এর ভিত্তিতেই শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের মিছিলে যান, ভোট দিন বিজেপিকে। তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড পুরো ধাপ্পাবাজি। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাচ্ছে না। কৃষক সম্মান নিধি প্রকল্প চালু হতে দেয়নি এই সরকার।