ক্যানিং: পঞ্চায়েত ভোটের ঘোষণা হতে না হতেই রাজ্যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। জায়গায় জায়গায় গুলি চালানো, বোমা ফেলা, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মতো ঘটনার খবর সামনে আসছে। সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়েছে ক্যানিং। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে এই অঞ্চল। তাতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলের একাংশের পক্ষ থেকে। আবার সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে উত্তেজনার মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার ঘটনা ঘটে। তাতেই এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে এই উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে যে তাদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবরের মধ্যেই এলাকার বিজেপি প্রার্থীদের মারধর এবং সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটি পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণ করার অভিযোগেও বিদ্ধ ঘাসফুল।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ভোট কাটতে বাম, কংগ্রেসের জোট প্রার্থীকে সমর্থন বিজেপি ! West Bengal Panchayat Election 2023″ width=”853″>
গত কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে ভাঙড়ে। বোমা আর গুলির শব্দে টেকা দায় হয়েছে এলাকায়, এমনই অভিযোগ স্থানীয় সাধারণ মানুষের। সেখানেও মূল অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই। শাসক শিবিরকে বিঁধেছে আইএসএফ। অর্থাৎ, সব বিরোধী দলের তরফ থেকেই অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকেই। যদিও যাবতীয় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।