কলকাতা: নবান্ন অভিযানে আহত বাম যুব কর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ তার উপর ময়নাতদন্তের বিলম্ব নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন৷ বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বাম কর্মী সমর্থকরা৷ মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই কর্মীদের ধস্তাধস্তিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে৷ পুলিশ মর্গের বাইরেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ৷ এরই মাঝে বাম কর্মীদের শান্ত থাকার আর্জি জানালেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম৷ সেই সঙ্গে দিলেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঙ্কার৷
আরও পড়ুন- ‘এত প্রশ্ন জাগে কেন, টাকা আপনার বাড়ি থেকে দিতে হচ্ছে?’ সাংবাদিকদের প্রশ্ন মমতার
এগিন পুলিশ মর্গের বাইরে উপস্থিত বাম কর্মীদের উদ্দেশে মহম্মদ সেলিন বলেন, ‘‘আমাদের কর্মী শহিদ হয়েছে৷ পুলিশের উপর রাগ হওয়াটা স্বাভাবিক৷ ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে৷ অমরা এই মামলা হাইকোর্টে তুলব৷ কেউ ছাড় পাবে না৷ তবে লড়াইটা নির্দিষ্ট কয়েকটা ঊর্দিধারী পুলিশের বিরুদ্ধে নয়৷ যাঁরা এই ঊর্দি সত্ত্বেও তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরতে শিখিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে৷’’
সেলিম আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল শুরু করতে পারে, শেষটা আমরাই করব৷ যে ভাবে ছাত্র যুব কর্মীদের আলাদা আলাদা গলির মধ্যে ঢুকিয়ে মারা হয়েছে, সব মনে রাখা হবে৷ একটা দুটো ছিঁচকেকে ধরে নিয়ে রাগ দেখালে হবে না৷ গাছটাকে ফেলতে হলে গোড়া দিয়ে ফেলতে হবে৷’’ তবে বাম কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেন তিনি৷ জানান, ময়নাতদন্তের বিলম্বের জন্য চিকিৎসকরা দায়ী নন৷ তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরেই প্রস্তুত রয়েছে৷ পুলিশি জটিলতাতেই এই বিলম্ব৷ সেই সঙ্গে সোজাসুজি তিনি আঙুল তোলেন নবান্নের দিকে৷ বলেন, নবান্নের নির্দেশ ছাড়া কোনও কিছুই হয় না৷ এক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- DYFI কর্মীদের কটূক্তির অভিযোগ সেই পুলিশের বিরুদ্ধে! উত্তপ্ত মৌলালি
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন মইদুল ইসলাম মিদ্যা৷ ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর শারীরির অবস্থার অবনতি হলে মিদ্যাকে ক্যামাক স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয়৷ সোমবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ ফুয়াদ হালিম জানান, মিদ্যার সারা শরীরে লাঠির আঘাত ছিল৷ তাঁর কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ফুসফুসেও জল জমতে শুরু করেছিল৷ গুরুতর আঘাতের জেরেই মারা গিয়েছেন মিদ্যা৷