নন্দীগ্রামে বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করেছে তৃণমূল! বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির

সাংবাদিক সম্মেলনে নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ গড় এখন নন্দীগ্রাম। ১০ বছর আগে যে এলাকার ঘটনাপ্রবাহের হাত ধরে পশ্চিমবঙ্গের মসনদে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার সেই কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। উল্টোদিকে গেরুয়া পতাকা হাতে থাকছেন তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। এমতাবস্থায় এই নন্দীগ্রামের ভোট প্রার্থী নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। 

নন্দীগ্রামের ভোট প্রার্থী ইতমধ্যেই চূড়ান্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। কিন্তু এই দুই দলের বিরুদ্ধে এবারের ভোটে যে জোট শক্তির লড়াই দেখবে বাংলা, তারা এখনও ‘হাইভোল্টেজ’ নন্দীগ্রাম ফাঁকাই রেখেছে। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের সঙ্গে নন্দীগ্রাম নিয়ে সমঝোতা হয়েছে তৃণমূলের, এদিন এমনটাই দাবি করলেন শমীক ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে প্রথমে বলা হয়েছিল আইএসএফের প্রার্থী দেওয়া হবে। তারপর বলল সিপিএম প্রার্থী দেবে। এখনও দোলাচলে রয়েছে। আসলে নন্দীগ্রাম আর ভাঙর নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে নিয়েছে ওরা।”

এখানেই শেষ নয়, প্রার্থী বাছাইয়ের মাধ্যমে লড়াই সহজ করে দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন গেরুয়া মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রামে সিপিএম বা আইএসএফ এখনও প্রার্থীই ঘোষণা করেনি। আবার ভাঙরে বহিরাগত প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কার লড়াই সহজ করার চেষ্টা চলছে তা বোঝাই যাচ্ছে।” বস্তুত, ইতিমধ্যে একুশের ভোটের আংশিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। তবে চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছিলেন এবারে নন্দীগ্রাম আসনের গুরুত্ব বিচার করে সেখানকার প্রার্থী ঘোষণা করতে খানিক সময় নিতে চান তাঁরা। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম থেকে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী ভোটে দাঁড়াবেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু পরে এই সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। তবে ভাঙর থেকে আইএসএফ’ই প্রার্থী দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে আজই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 18 =