দঃ দিনাজপুর: বিজেপির গঙ্গারামপুরের বুথ সভাপতি স্বাধীন রায়কে খুন করা হয়েছে এমনই অভিযোগ তুলে বাড়ির লোকজনকেগঙ্গারামপুর থানায় নিয়ে এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করালেন বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গংগারামপুর থানার সুকদেবপুরে । কর্মী হত্যার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরে আসেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু৷ এরপর নিহত কর্মীর শোকতপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ফের একবার তৃনমুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান সায়ন্তন৷ এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে তৃনমুলের জড়িত থাকার অভিযোগ আনলেন রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু।
তিনি বলেন, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে৷ পুলিশ রাতের অন্ধকারেই ময়নাতদন্তে করে দিল৷ বাড়ির লোকের ওপর চাপ দিচ্ছে পুলিশ৷ গোটা ঘটনায় মনে হচ্ছে তৃণমূল ও পুলিশের যৌথ প্রয়াস৷ মৃত বিজেপি কর্মী স্বাধীন রায়ের বাড়িতে যান সায়ন্তন বসু ছাড়াও ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা বিজেপির অনান্য নেতৃবৃন্দ। বুধবার হওয়া এই খুনের সঙ্গে তৃনমুল জড়িত রয়েছে বলে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন প্রতিদিন একজন করে বিজেপি কর্মী খুন হচ্ছে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে৷ সেই একই কায়দায় গতকাল তাদের বুথ সভাপতি স্বাধীন রায়কে তৃনমুল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে৷ মৃত স্বাধীন রায়ের ছেলের পড়াশোনার খরচ ও তার পরিবারকে দলের তরফ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে তাদের দিকে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷ এপ্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা কোর কমিটির সদস্য সুভাষ চাকি বলেন, বিজেপি নামক দলটা মিথ্যের ওপর দাঁড়িয়ে তৈরি হয়েছে৷ এরা সবসময় অসত্য তথ্য মানুষের কাছে পরিবেশন করে৷ পশ্চিমবঙ্গে যেখানেই কেউ মারা যাচ্ছে বা খুন হচ্ছে তাদেরকেই্ নিজেদের কর্মী বলে দাবি করছে বিজেপি৷ এপ্রসঙ্গে গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু বলেন, পরিবারের লোকেরা এসে অভিযোগ দায়ের করেছে৷ তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷