হাঁসখালি: শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে দলের নেতাদের হাতেই মৃত্যু হল এক বৃদ্ধর৷ ঘটনাচক্রে, ওই বৃদ্ধর স্ত্রী তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি৷ স্বভাবতই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার হাঁসখালি থানার ছোট চুপুরিয়া গ্রামে৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত বৃদ্ধের নাম সুভাষ বিশ্বাস। বয়স ৮৫ বছর৷ রবিবার রাতে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই বৃদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির স্বামী। গত মঙ্গলবার রাতে তার বাড়ির কাছেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি বাদল বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস, মিহির বিশ্বাস পরিবারের ছেলেমেয়েরা শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল বলে অভিযোগ৷
সেই শব্দে সুভাষ বিশ্বাসের নাতিরা ঘুমন্ত অবস্থায় চমকে উঠেছিল। তাই সুভাষ বিশ্বাস তার প্রতিবাদ করেছিলেন। অভিযোগ, এরপর বাদল বিশ্বাস ও তার দুই ভাই নারায়ন বিশ্বাস এবং মিহির বিশ্বাস লোকজন নিয়ে এসে সুভাষ বিশ্বাসের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপায়। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে সুভাষ বিশ্বাসকে বগুলা হাসপাতাল তারপর শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
রবিবার রাতে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্তের পর এদিন বিকেলে মৃতদেহ বাড়িতে আসে। খুনের ঘটনায় পাঁচ জনের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাদল বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মৃতের পরিজনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসীরা৷ তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা মূল দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে৷
প্রসঙ্গত, আদালতের তরফে আগেই জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা৷ কলকাতা থেকে জেলা, পুলিশের তরফেও নিষিদ্ধ শব্দবাজির খোঁজে টানা তল্লাশি অভিযান চালাতে দেখা গিয়েছে৷ তারপরেও কালীপুজোর সময় রাজ্যজুড়েই দেখা গিয়েছে শব্দবাজির দাপট৷ রাত যত বেড়েছে ততই বেড়েছে বাজি ফাটার আওয়াজ৷ এবার সেই শব্দবাজির দাপটে প্রাণ খোয়াতে হল এক বৃ্দ্ধকে৷