গাইঘাটা: কারও মুখে নেই মাস্ক৷ দূরত্ব বিধিরও ধার ধারেননি কেউ৷ বরং আহ্লাদে আটখানা হয়ে সিঁদুর খেলায় মাততে দেখা গেল সকলকে৷ এবং উদ্যোক্তার ভূমিকায় স্বয়ং শাসকদল তৃণমূলের মহিলা সংগঠন৷ স্বভাবতই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
দলীয় নির্দেশ বিজয় দশমী উপলক্ষে দুয়ারে সিঁদুর খেলায় মাতলেন গাইঘাটার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রীরা। রবিবার বিকালে ইছাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ এবং ৫৮ নম্বর বুথের বাসিন্দাদের বাড়িতে গিয়ে গিয়ে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতলেন তৃণমূলের নেত্রীরা৷
ওই দলে ছিলেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী ইলা বাগচী, জেলা তৃণমূলের ওবিসি সেলের সদস্য রত্না বিশ্বাস, শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পপি দেব সহ স্থানীয় নেত্রীরা। এদিন তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে যান এবং বাড়ির মহিলাদের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে মিষ্টিমুখ করান। তৃণমূল নেত্রীদের বাড়িতে সিঁদুর হাতে দেখে আপ্লুত স্থানীয় বাসিন্দারা। নেতৃত্বের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতিন তাঁরাও।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী বলেন, ‘‘দলীয় নির্দেশ ওদের বাসিন্দাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমরা সিঁদুর খেলছি৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের ভালো সাড়াও পাচ্ছি। বনগাঁ লোকসভা ও বিধানসভা আমাদের হার হয়েছে৷ মমতা ব্যানার্জির দুয়ারে কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা সেই জমি পুনরুদ্ধার করব।’’ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সবই ঠিক আছে৷ কিন্তু যেভাবে করোনা ভাইরাস মাথা চাড়া দিচ্ছে৷ তাতে এভাবে সিঁদুর খেলা কি একান্ত প্রয়োজন ছিল? এতে কি মানুষের তথা নিজেরই বিপদকে আরও কাছে ডেকে আনা নয়? উদ্যোক্তারা অবশ্য এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷