কলকাতা: দলবদল পরিস্থিতিতে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিধায়ক এবং নেতা বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর দলের বাকি সদস্যদের নিয়ে চিন্তা আরো বেড়েছে শাসকদলের। কারণ এখনো বেশ কয়েকজনকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। এদের মধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া ছিলেন, পরে লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগ আরো বিতর্ক বাড়িয়েছিল। এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়ের ঘটনা যেন বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে বেসুরো হয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তিনি। সোজাসুজি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলের জন্য তিনি শতাব্দী রায় হননি, আগে থেকেই স্টার ছিলেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়ে বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দীর বলেন, অনেক দলীয় অনুষ্ঠান হয়েছে যেখানে তাঁকে ডাকা হয়নি, বিনা আমন্ত্রণে কোনো দলীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার মানসিকতা তাঁর নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলের জন্য তিনি তারকা হননি, তার বহু আগে থেকেই একজন স্টার ছিলেন। সেই হিসেবে তাঁর প্রতি দলের সামান্যতম সম্মান রাখা উচিত ছিল। একই সঙ্গে শতাব্দী জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু কর্মসূচিতে বা অনুষ্ঠানে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি, তাই তাঁর খারাপ লেগেছে। এইভাবে বাড়িতে বসে দিনের পর দিন বেতন নিয়ে যে তিনি চলতে পারবেন না সে কথা স্পষ্ট করে দেন তিনবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। দলের অবস্থা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, একে একে যখন অনেকজন দল সম্পর্কে কথা বলছে তাহলে বুঝতে হবে কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। সকলের সঙ্গে বসে সেই ব্যাপারে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে আগামী কাল দিল্লিতে যাচ্ছেন শতাব্দী রায়, সেখানেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। এদিন আবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন জন্য মূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও দুজনের মধ্যে কি কথা হয়েছে সেই ব্যাপারে কিছুই জানাননি তিনি। কুণালের কথায়, পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে এসে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছেন তিনি। তবে তাঁর সামনেই যে শতাব্দী রায়কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ফোন করেছিলেন সে ব্যাপারেও ঘোষণা করেন কুণাল। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন, শতাব্দী রায় তৃণমূল কংগ্রেসেই রয়েছেন। তবে তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি হয় সেটা দেখার জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে সকলকে।