কলকাতা: অপেক্ষার আর পাঁচ মাস। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু এখন সবচেয়ে ব্যাকফুটে যে রাজনৈতিক দল রয়েছে তার নাম শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একের পরে এক মন্ত্রী এবং বিধায়ক দল ছেড়ে দিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কেউ ছাড়বেন না তাও এখনো স্পষ্ট করে বলা যায়। এই পরিস্থিতিতে আজ কালীঘাটের দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দল থেকে যারা পদত্যাগ করেছেন তাদের নিয়ে এতোটুকু উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল কংগ্রেস। এমন বার্তাই মিলেছে এদিনের বৈঠক থেকে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন কালীঘাটের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, যারা দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন তারা আদতে দলের বোঝা। তারা বেরিয়ে যাবার জন্য একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ভালো হচ্ছে, তাই দল একেবারেই উদ্বিগ্ন নয় এই ব্যাপারে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, কে গেল আর কে থেকে গেল তা নিয়ে দল একেবারেই চিন্তিত নয়, বরং যারা আছেন তাদের নিয়েই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল এজেন্ডা হতে চলেছে উন্নয়ন। সেটিকে সামনে রেখেই ২০২১ নির্বাচনী কোমর বেঁধে নামতে চলেছে ঘাসফুল শিবির। এই প্রসঙ্গে কোন রাজনৈতিক দলকে এক ইঞ্চি জায়গা না ছাড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে কালীঘাটের এই বৈঠক থেকে।
প্রসঙ্গত, মন্ত্রিত্ব এবং বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফা দেওয়ার পরেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। একইসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন আসানসোলের পৌর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। একই সঙ্গে একাধিক জেলার একাধিক বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন একইসঙ্গে অনেকে এমন রয়েছেন যারা বেসুরো কথা বলছেন ইতিমধ্যেই। সব মিলিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভালোমতো চাপে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। তবে তারা যে কোনভাবে আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে না তাই দিনের বৈঠকের বার্তা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের শিবিরের দাবি, বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন এবং তাদের উন্নয়নের সাক্ষী। তাই যদিও বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।