কলকাতা: দলবদলের আবহে এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও দলের একাধিক বিধায়ক এবং নেতা চলে গিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরে। এই পরিস্থিতির মধ্যে এবার হয়তো তৃণমূলের দুই ডাক্তার বাবু ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম ধরতে ছুটছেন! একজন হোমিওপ্যাথি এবং একজন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসককে নিয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
জানা গিয়েছে যিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তিনি নিয়মিত রাজভবনে যাচ্ছেন! বাংলার একজন কিংবদন্তি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের ছেলে হচ্ছেন তিনি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট নামকরা। সবচেয়ে বড় ব্যাপার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন তিনি একসময়।এখন জানা গিয়েছে আগামী বছরের শুরুতেই হাওড়ায় জনসভা করতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিংবা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেই সভায় নাকি তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন! এদিকে, অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসককে নিয়ে এতটা হৈচৈ নেই কোনও জায়গায়। তিনি অবশ্য নিজেও খুব একটা জনসমক্ষে আসতে পছন্দ করেন না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কাছাকাছি রয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর তাকেও ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে নিশানা করা হয়েছে। সেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসককে ও দলে টানতে মরিয়া হচ্ছে বিজেপি শিবির।
সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যতজন বিজেপি শিবিরে যোগদান করেছেন সেই সংখ্যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রাখলে মোটেও শাসক দলকে সুবিধা দেবে না। এর মধ্যে যদি ফের তৃণমূলের শিবির থেকে গেরুয়া শিবিরে কেউ যোগদান করেন তাহলে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আরো কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাবে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে এই দুজন চিকিৎসকের রাজনৈতিক খুব একটা দখল না থাকলেও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে তাদের একটা ভারিক্কি রয়েই যায়। তাই এখন এই দুজন চিকিৎসক আদৌ কি সিদ্ধান্ত নেন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।