নন্দীগ্রামে বহিরাগত জড়ো করে রেখেছেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূল

নন্দীগ্রামে বহিরাগত জড়ো করে রেখেছেন শুভেন্দু! বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল তৃণমূল

কলকাতা: একটি নয়, নন্দীগ্রামের একাধিক বাড়িতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে জমা করে রেখেছেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী! এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষিতে দিল্লির নির্বাচন কমিশনের নালিশ করেছে তারা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই ইস্যুতে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নন্দীগ্রাম এলাকার কমপক্ষে ৪ টি বাড়িতে বহিরাগত জড়ো করে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

নির্বাচন কমিশনের তৃণমূল কংগ্রেস যে অভিযোগ দায়ের করেছে তাতে ওই বাড়িগুলির ঠিকানা এবং সবিস্তারে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে এইবারই গুলিতে বেশ কয়েকজন বহিরাগতরা এসে রয়েছেন। এমনকি কোন কোন এলাকা থেকে তাদের নন্দীগ্রামে আনা হয়েছে সে ব্যাপারেও সবিস্তার কমিশনে জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইভাবে নির্বাচনের আগে বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি, বিস্ফোরক এই অভিযোগ তুলে এই ইস্যুতে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আবেদন করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল জানিয়েছে, এইসব বাড়ি গুলিতে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন করে রয়েছে ডিসেম্বর মাস থেকে। রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে তাদেরকে এখানে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- কোনও গুণ্ডার হিম্মত হবে না বাংলার মানুষকে রোখার, হুঙ্কার শাহের

ঘাসফুল শিবিরের আরো বক্তব্য, এই সমস্ত বহিরাগত সমর্থকরা নন্দীগ্রামে বিভিন্ন জায়গায় বাইক র্যালি করছে, সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনকে যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাতে প্রত্যেকটি বাড়ির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ এবং তথ্য দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকদের পেছনের লোক লাগিয়ে রেখেছে। ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশন ছুটেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই নিয়ে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ফাইল ছবি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *