কলকাতা: নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পরেই রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় হিংসার ছবি ধরা পড়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ ছবি এবং হিংসার ঘটনাকে ভুয়ো বলে ইতিমধ্যেই দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও একটু নজর করলে দেখা যাবে যে বেশিরভাগ হিংসার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের নয়। তবে মূলত যে হিংসা হচ্ছে বাংলায়, তার সম্পূর্ণ দায় বিজেপির, এমনটাই বলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত অভিযোগ করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়েছে, ভোটের আবহে বিজেপির নেতা এবং মন্ত্রীরা যে ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য দিয়েছেন এখন তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে রাজ্যকে।
আজ তৃণমূল ভবনে রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, সরকার শপথ নেওয়ার আগেই রাজ্যের হিংসার ঘটনায় তাদের দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। নতুন সরকার শপথ নিল না তার আগেই হিংসার দায় তাদের কী করে হবে, এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ৩ মে পর্যন্ত যা ঘটনা ঘটেছে তার সব দায় নির্বাচন কমিশনের, কারণ আইন শৃংখলার দায়িত্ব তাদের হাতেই ছিল সেই দিন পর্যন্ত। একই সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, বিজেপি একতরফা তাদের কর্মী খুন হয়েছে বলে অভিযোগ করছে কিন্তু আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকের মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির উস্কানিমূলক মন্তব্যকেই দায়ী করেছেন তিনি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বক্তব্য করেন, বিগত কয়েক মাস ধরে বিজেপির নেতারা যেভাবে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন, তাতেই হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপি যেখানে জিতেছে সেখানেই বেশি হিংসা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের হিংসা সম্পর্কে বলেন, একটা সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২৪ ঘণ্টাও হয়নি, তারই মধ্যে বারবার চিঠি চলে আসছে, কেন্দ্রীয় দল চলে আসছে। জায়গায় জায়গায় বিজেপি হিংসা করছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন তাদের অর্থ সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।