কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস জোট শামিল হবে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে আসন বিভাজন কী হয়েছে সেই ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। এই ব্যাপারে পরবর্তী ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের জোট নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। এককথায় দুই দল তুলোধনা করেছে এই জোটকে।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, “এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। ওদের উভয়ই খুব দুর্বল হয়ে গিয়েছিল, ওরা একে অপরকে ধরে কোনরকমে বাঁচবার চেষ্টা করছে। তাও ওরা দুর্বল তৃতীয় শক্তি হিসেবেই থাকবে। তৃণমূল জিতবে, দ্বিতীয় হবে বিজেপি এবং একদম শেষে থাকবে বাম-কংগ্রেস। কোন ত্রিমুখী লড়াই নয়, লড়াই সম্ভাব্য জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির। এক কোনায় পড়ে থাকবে বাম এবং কংগ্রেস”। অপরদিকে বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার মন্তব্য করেছেন, এটা তারা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, আজ এটা প্রমাণিত হল। আব্বাস সিদ্দিকীর দল আসাউদ্দিন ওয়াইসির মীমের সঙ্গে জোট করছে। এদিকে কেরালায় যেমন সিপিএম মুসলিম লীগের সঙ্গে জোট করেছিল, এখানে সিদ্দিকের দলের সঙ্গে করা হচ্ছে। এতে পরিষ্কার হচ্ছে এদের গতি বিধি কোন দিকে।
জয়প্রকাশের দাবি, এরা একদিকে ধরে থাকবে তৃণমূলকে এবং অন্যদিকে আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে। এদের লক্ষ্য একটাই, বিজেপির বিরোধিতা। তিনি আরো বলছেন, এদের সকলের মুখ থেকে ঘোমটা সরে গেছে। এদিন আসন সংখ্যা সমঝোতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে। কে কত আসনে লড়বে সেটা এখনও স্পষ্ট করা হয়নি। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে আসন সমঝোতা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।