কলকাতা: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর নন্দীগ্রামে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানেই প্রার্থী হয়েছিলেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন শুভেন্দু। সেই টক্কর তো এখনও সবার মনে আছে। বিধানসভা ভোটের পর জল অনেক দূর গড়িয়েছে। কিন্তু যে কোনও ভোট এলেই নন্দীগ্রাম আলাদাভাবে উত্তেজক হয়। এবারের পঞ্চায়েতেও তাই। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এবার এই অঞ্চল থেকে বড়সড় কোনও হিংসা বা অশান্তির খবর আসেনি। তাহলে এখানে পঞ্চায়েতের লড়াই কেমন হল?
সন্ধ্যে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে তৃণমূল বনাম বিজেপির জোর টক্কর চলছে। নন্দীগ্রাম ১ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যা মোট ১০টি। এর মধ্যে ৫টি পঞ্চায়েতে জয়ের পথে বিজেপি, বাকি ৫টিতে এগিয়ে তৃণমূল। আবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের ৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫টিতে এগিয়ে বিজেপি, বাকি দু’টিতে তৃণমূল। অর্থাৎ, টক্কর যে সমানে সমানে চলছে তা বলাই যায়। চূড়ান্ত ছবিটা সামনে এলেই তবে বলা যাবে, এই লড়াইয়ে বাজিমাত করল কারা। তবে একটা কথা না বললেই নয়, ২০১৮ সালে এই আসনগুলিতে আধিপত্য ছিল তৃণমূলের। এবার কিন্তু বিজেপি ভাগ বসিয়েছে।
তবে গোটা জেলায় বিজেপি তেমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে বলে মনে করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিধানসভা ভোটে অবশ্য নিজের কেন্দ্রে জয় ছাড়া বাকি জেলায় তেমন কিছু করতে পারেননি শুভেন্দু অধিকারী। তাও তাঁর জয় নিয়ে বিতর্ক এখনও আছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও জেলা থেকে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে বিজেপিকে।