টোকেন দেখালেই মিলছে মুড়ি–ঘুগনি–বোঁদে! অনুব্রতহীন বীরভূমে তৃণমূলের ‘দরিদ্র নারায়ণ সেবা’!

দুবরাজপুর: চতুর্থ দফায় আজ ভোট হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে৷ তিনি অবশ্য এখন বহু দূরে তিহাড় জেলে বন্দি৷ ফলে তাঁর বিখ্যাত গুড় বাতাসার দাওয়াই নেই৷ তবে…

দুবরাজপুর: চতুর্থ দফায় আজ ভোট হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে৷ তিনি অবশ্য এখন বহু দূরে তিহাড় জেলে বন্দি৷ ফলে তাঁর বিখ্যাত গুড় বাতাসার দাওয়াই নেই৷ তবে আছে গরমাগরম মুড়ি, ঘুগনি৷ শেষ পাতে রয়েছে বোঁদে৷ হ্যাঁ, ভোটের সকালে বীরভূমের দুবরাজপুরে এভাবেই ‘দরিদ্র নারায়ণ সেবা’ শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস৷

২০২১-এর বিধানসভা ভোটে বীরভূমের একমাত্র দুবরাজপুর কেন্দ্র থেকেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি৷ লোকসভা নির্বাচনে এই দুবরাজপুরে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল৷ সেখানেই একটি বুথ থেকে কিছুটা দূরে ভোটের সকালে দেখা মিলল একটি ঠেলা গাড়ির৷ তার গায়ে জ্বলজ্বল করছে  রাজ্যের শাসকদলের পতাকা। সেখানেই ঠেলাতেই রয়েছে গরমাগরম ঘুগনি৷ সঙ্গে মুড়ি আর বোঁদে। যাঁরা ভোট দিয়ে আসছেন, তাঁদের হাতে ধরা রয়েছে একটা করে স্লিপ। সাদা কাগজের সেই স্লিপ জমা পড়ছে একটা ছোট বাক্সে। ওই স্লিপে লেখা ‘দুবরাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস’। সেটা দেখালেই প্লেটে করে হাজির গরমাগরম মুড়ি-ঘুগনি-বোঁদে৷

যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সামনে আসতেই অন্য সুর খাবার বিলির দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কর্মীদের। তাঁদের দাবি, তাঁরা দরিদ্র নারায়ণ সেবা করছেন। তাহলে হাতে স্লিপ কেন? প্রশ্ন শুনেই খতমত খান তাঁরা৷ এদিকে ভোট দিয়ে এসে মুড়ি- ঘুগনি- বোঁদের লোভে তখন ঠেলার সামনে জমেছে লম্বা লাইল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *