২ বিচারপতির মতভেদ, নারদে ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি! তৃতীয় বেঞ্চে যাচ্ছে মামলা!

২ বিচারপতির মতভেদ, নারদে ৪ নেতা-মন্ত্রীকে গৃহবন্দি! তৃতীয় বেঞ্চে যাচ্ছে মামলা!

লকাতা: জামিন মঞ্জুর না হলেও জেল থেকে মুক্তি পাচ্ছেন নারদে ধৃত চার নেতা-মন্ত্রী৷ জেল হেফাজত থেকে ধৃতদের মুক্তি দেওয়া হলেও গৃহবন্দি থাকতে হবে তাঁদের৷ কলকাতা পুরসভার প্রধান পদে থাকায় বাড়ি থেকে প্রশাসনিক কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন ফিরহাদ হাকিম৷ বাকি অসুস্থ মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় গৃহবন্দি থাকলেও চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত সহযোগিতা পাবেন৷ গৃহবন্দি থেকে তাঁদের সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করতে হবে৷ আজ মামলার রায়দানে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে, দুই বিচারপতির রায়দানে মতভেদ থাকায় তৃতীয় বেঞ্চে যাচ্ছে এই মামলা৷ 

আজ শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দুই বিচারপতির মতভেদ দেখা দেয়৷ চূড়ান্ত রায়দান নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা৷ পরে কিছুটা বিরোতি নিয়ে রায়দান করে ডিভিশন বেঞ্চ৷ তবে, দুই বিচারপতির মতভেদের কারণে তৃতীয় বেঞ্চে যেতে পারে এই মামলার চূড়ান্ত রায়দানের প্রক্রিয়া৷ চূড়ান্ত রায়দান না আসা পর্যন্ত গৃহবন্দি থাকতে হবে নারদে ধৃত ৪ নেতা-মন্ত্রীকে৷ দুই বিচারপতির মতভেদ দেখা দেওয়ায় তৃতীয় বেঞ্চে মামলা শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে৷

আজ জামিন মামলার শুনানিতে নারদে ধৃত ৪ নেতা-মন্ত্রীর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুরের পরিবর্তে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন৷ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি অন্তর্বর্তী জামিনের বিরোধিতা করেন৷ এই নিয়ে তৈরি হয় মতভেদ৷ ফলে, মামলা তৃতীয় বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হতে পারে মনে বলে করা হচ্ছে৷ নতুন বেঞ্চ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ধৃতদের গৃহবন্দির নির্দেশ দেয় আলালত৷ এই নির্দেশের বিরোধিতা করেন ধৃতদের আইনজীবিরা৷

করোনা পরিস্থতির কথা মাথায় রেখে নারদে ধৃতদের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধন বিচারপতি বিরোধিতা করেন৷ পরে ধৃতদের জেল হেফাজত থেকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে প্রধান বিচারপতি গৃহবন্দি নির্দেশ দেন৷ এই নিয়ে তীব্র আইনি বাদানুবাদ শুরু হয় এজলাসে৷

কেন্দ্রীয় সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি এই নির্দেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করেন৷ সেই আবেদনে ফের মামলার শুনানি শুরু হয়৷ মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তাঁর সওয়ালে জানান, কলকাতা ও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুব খারাপ। গৃহবন্দি নির্দেশ কার্যকর হলে তাঁরা কাজ করবেন কীভাবে৷ আজ রাজ্যের মানুষ অসহায়৷ করোনা মোকাবিলায় কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য এবং রাজ্যের ভ্যাকসিনের যোগান কম। লড়াই করবে কীভাবে? গৃহবন্দি অবস্থায় তাঁরা কাজ করতে পারবেন না৷ ফলে, তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হোক বলেও সওয়াল করেন সিঙ্ঘভি৷ মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হোক, প্রয়োজন আগামী শনিবার-রবিবার শুনানির ব্যবস্থা করা হোক, আদালতে আবেদন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের! যত দ্রুত সম্ভব আজই নতুন বেঞ্চ গঠন করা হোক, আবেদন জানান অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির৷ মামলার শুনানি শেষে রায়দান কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত রাখে আদালত৷ পরে রায়দান হলেও তৃতীয় বেঞ্চে যাচ্ছে মামলা৷ আজ দুপুর ২টোয় তৃতীয় বেঞ্চে  মামলার শুনানির উপর নির্ভর করছে ৪ প্রভাবশালীর ভবিষ্যৎ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

6 + nine =