testa river
শিলিগুড়ি: ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে সিকিমে। মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে বিপুল জলরাশি তিস্তা নদী দিয়ে বয়ে চলেছে। তার ফলে কার্যত প্লাবিত নদী ধারের এলাকা। জাতীয় সড়ক ভেঙে গিয়েছে, একাধিক সাধারণ মানুষ সহ সেনাকর্মীরাও নিখোঁজ। এরই মধ্যে তিস্তার জলে তিন জনের দেহ ভেসে এসেছে। তারা কারা এখনও পর্যন্ত জানা না গেলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান, তিন সেনার দেহ ভেসে আসতে পারে। যদিও এ বিষয়ে এখনও সেনার তরফ থেকে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।
বুধবার সকাল থেকে তিস্তার তাণ্ডবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত। তা ভেঙে দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার ফলে বাংলা থেকে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তিস্তার জলের তাণ্ডবে একাধিক ঘরবাড়ি, সেনা ছাউনি ভেসে গিয়েছে। একইসঙ্গে এই বিপর্যয়ের ফলে দার্জিলিঙে, কালিম্পঙের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তিস্তার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তর সিকিমের এক নদী পাড় থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তাদের পরিচয় জানার কাজ চলছে। পাশাপাশি আশঙ্কা, আরও একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হতে পারে কারণ বহু মানুষের ভেসে যাওয়ার খবর এসেছে।
এদিকে বাংলাতেও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে এই কারণে। আসলে তিস্তার বিপুল পরিমাণ জলরাশি ধেয়ে আসছে উত্তরবঙ্গের দিকে। লাগাতার বৃষ্টি এবং ডিভিসির বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার কারণ এমনিতেই বাংলার সাত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে সিকিমের এই অবস্থা পরিস্থিতি আরও জটিল এবং ভয়ানক করে তুলেছে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানান, তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যখনই জলের স্রোত নিয়ন্ত্রিত হবে, তিস্তার বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হবে। সেনা সূত্রে খবর, ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতায় জলের স্রোত নামে তিস্তায়।