কলকাতা: উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে ব্রত ভাঙলেন হাজার হাজার ভক্ত। মালদা থেকে হাওডডা সর্বত্রই দেখা গেল এই চিত্র৷
ভোর রাত থেকেই মালদা শহরের সদরঘাটে মহানন্দা নদীর পাড়ে ভক্তদের ঢল নেমে আসে। বুক জলে নেমে ছট মাইয়ার পুজোই ব্রতী হন ভক্তরা। গোটা মহানন্দা নদীর পাড় আলোকিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন আতসবাজি এবং প্রদীপের শিখায়। তার সঙ্গে চলে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও নাচ। এরপর উদীয়মান সূর্য কে অঘ্য নিবেদন করে ব্রত ভাঙেন হাজার-হাজার ভক্ত। ছটপুজোয় হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও লক্ষ্য করা গিয়েছে পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
প্রসঙ্গত, লোকআস্থা মহাপর্ব ছটপুজোর আজ শেষ দিন। ভোররাত থেকেই পুণ্যার্থীদের গঙ্গার ঘাট অভিমুখে যেতে দেখা গেল। সেখানে দীর্ঘক্ষণ পুণ্যার্থীরা গঙ্গার জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন সূর্য ওঠার অপেক্ষায়। সূর্যের আলো ফোটার পর শুরু হয় সূর্যদেবের পুজো, আরাধনা। সূর্যদেবের পুজো করার পরে পুণ্যার্থীরা ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। হাওড়ায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে লক্ষাধিক মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে। রামকৃষ্ণপুর,শিবপুর সহ প্রতিটি ঘাটেই ছিল পুণ্যার্থীদের ভিড়। এদিন পুজোর শেষে পুজোর প্রসাদ ‘ঠেকুয়া’ বিতরণ করতে দেখা গেছে পুণ্যার্থীদের।
ছিল নিরাপত্তার বন্দোবস্তও৷ পুলিশের আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ তবে পুন্যার্থীদের অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক৷ যা নিয়ে পুলিশকেও কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি৷ স্বাভাবিকভাবে, দুর্গা পুজো, কালী পুজোর পর ছট পুজোতেও ফের ভাইরাস প্রসঙ্গে মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছবিটাই সামনে এল বলে মনে করা হচ্ছে৷