কলকাতা: দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ৷ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ছুঁই ছুঁই৷ গোটা দেশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্র৷ মোট আক্রান্তের ৪০ শতাংশই সে রাজ্য৷ পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে নতুন করে লকডাউনের চিন্তাভাবনা শুরু করেছে উদ্ধব ঠাকরের সরকার৷ যা নতুন করে উস্কে দিয়েছে পুরনো স্মৃতি৷ ফের মাথাচাড়া দিয়েছে লকডাউন আতঙ্ক৷ আর সেই আতঙ্কেই ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা৷
আরও পড়ুন- প্রচারের মাঝেই গুরুতর অসুস্থ মিঠুন, তড়িঘড়ি আনা হল কলকাতায়
করোনার প্রথমপর্বে আচমকা লকডাউনে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের৷ ঘরে ফেরার কান্না, ক্ষুধার জ্বালায় অভুক্ত শ্রমিকদের হাহাকার দেখেছিল গোটা দেশ৷ ভিন রাজ্য থেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে ঘরে ফেরার দৃশ্য বুক কাঁপিয়ে দিয়েছিল৷ করোনার প্রকোপ কমার পর এবং নিজ রাজ্যের কাজ না হাজার হাজার শ্রমিক ফের কাজের খোঁজে পাড়ি দেন পুরনো ঠিকানায়৷ ২০২০ সালের শেষ দিক থেকেই ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতে থাকেন তাঁরা৷ কিন্তু ফের বিধি বাম৷ পরিস্থিতি ফের জটিল হতে শুরু করেছে মারাঠা মুলুকে৷ তাই লকডাউনের আশঙ্কায় আগে থেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন বাংলার শ্রমিকরা৷
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্তদের জন্য বাড়াতে হবে বেডের সংখ্যা, নির্দেশ দিল রাজ্যর
জানা গিয়েছে, কেউ হোটেলে, কেউ বা করতেন রাজমিস্ত্রীর কাজ৷ এখন হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে পরিযায়ীদে ভিড়৷ রাজ্যেও সংক্রমণ লাগামছাড়া৷ হাওড়া জেলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত৷ শুধু হাওড়া নয়, গোটা রাজ্যেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা৷ কী ভাবে সংক্রমণ রোখা যাবে, সেটাই বড় প্রশ্ন৷ এর মধ্যে নিশ্চিত ভাবেই প্রয়োজন সচেতনতা৷ করোনার বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন৷ উদ্বেগে চিকিৎসকরা৷ ইতিমধ্যেই চার সদস্যের টাস্ক ফোর্ট গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর৷ যার নেতৃত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের সতিব সঞ্জয় বনশল৷