কলকাতা: আম্পানের পর ত্রাণ বিলি নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যে৷ যশের পর তাই সতর্ক প্রশাসন৷ বৃহস্পতিবার নবান্নের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিলির জন্য সময় নিতে হবে৷ এই মুহূর্তে প্রয়োজন রয়েছে পানীয় জল, চিকিৎসা, জামা-কাপড়ের বন্দোবস্ত করা৷ পাশাপাশি মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে৷ এতে অন্যান্য দফতরও থাকবে৷ আপাতত রাজ্য সরকারের তরফে ১ হাজার কোটি টাকা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ করা হচ্ছে৷ আর এই ত্রাণের টাকা পৌঁছে দিতে শুরু হবে সরকারের দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প৷
আরও পড়ুন- ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ কোথায় গেল? পরিবেশ ও বন দফতরকে তীব্র ভর্ৎসনা মুখ্যমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জল ঢুকে ঘরবাড়ি, চাষের জমির প্রভূত ক্ষতি হয়েছে৷ যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি পৃথক পৃথক ভাবে সার্ভে করা হবে৷ এর জন্য দুয়ারে সরকারের মতো দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সুবিধা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও যেমন থাকবে, তেমনই ব্লক স্তরেও থাকবে৷ তবে এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে চালাবে রাজ্য সরকার৷ যাঁরা দুয়ারে সরকার প্রকল্প করেছিল, তাঁরাই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প পরিচালনা করবে৷ ৩ জুন থেকে শুরু হবে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প৷ কারণ জল সরতে পাঁচ-ছয় দিন সময় লেগে যাবে৷ জল না সরলে অনেক গ্রামে পৌঁছনো সম্ভব হবে না৷ সে কারণেই এই ৬ দিন সময় নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত, টানা ১৫ দিন দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প চলবে৷ তবে কারও মুখের কথায় ত্রাণ বণ্টন হবে না৷ দাবি খতিয়ে দেখার পরেই মিলবে প্রাপ্য সাহায্য৷
আরও পড়ুন- এক যুগ পর ফের চাষের জমিতে ঢুকল নোনা জল, জেরবার সুন্দরবন
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্পে উপস্থিত থাকবেন অফিসাররা৷ সেখানে আবেদন জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট বক্সে আবেদন জানাতে হবে৷ সকলকে নিজের নিজের আবেদন জমা দিতে হবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজনীতি, ধর্ম-বর্ণ জাতি নির্বিশেষে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে৷ দুয়ারে সরকারের অন্তর্গত এই দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প৷ তিনি জানান, প্রতিটি আবেদন খতিয়ে দেখা হবে৷ এর জন্য ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় নেওয়া হয়েছে৷ এরপর ১ জুলাই থেকে ৮ জুলাইয়ের মধ্যে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণের সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে৷