দর্গাপুর: এবার দুর্গাপুরে ঐশী ঘোষের মিছিলে অনুমতি দিল না রাজ্য পুলিশ৷ দুর্গাপুরের আশীষ মার্গ থেকে চন্ডীদাস বাজার পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি চাওয়া হয় এসএফআইয়ের তরফে৷ কিন্তু আশীষ মার্গের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর মিছিল থাকায়, ঐশীদের মিছিলে অনুমতি দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে৷ যদিও এর আগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হোস্টেলে হামলা ও বাংলার মেয়ে তথা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআইয়ের সভানেতিত্রী ঐশীকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু, ঐশীর প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের পরও মিছিলে পুলিশি অনুমতি না পাওয়ার ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এসএফআই৷
বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, আগে থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল আমাদের৷ কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, সেই অনুমতি তারা বাতিল করছে৷ আমাদের মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই চলত৷ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বাচ্চা মেয়ে ঐশীকে ভয় পেয়ে গেছেন৷ তাই মিছিলে পুলিশ অনুমতি দেয়নি৷ আমরা আগেই জানতাম, কারণ আমরা মনে করছি, যে পুলিশ অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে উর্দি পরে বসে থাকে সেই পুলিশ পক্ষে এটাই প্রত্যাশিত৷ আসলে মোদি ও মমতা দু’জনেই একই মুদ্রার বিন্ন পিঠ৷ ওরা ভয় পেয়েছে, প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে৷
অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগু হয়েছে নির্বাচন বিধি। এর জেরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বািরে কেউ ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজনৈতিক প্রচার করতে পারবেন না। বর্তমানে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিন্ন বিছিন্ন এসএফআইকে একসুতোয় বাঁধতে মরিয়া হয়ে পড়েছে বাম নেতৃত্ব। অন্য দিকে, ক্রমেই বিজেপি বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন জেএনইউএসইউয়ের সভাপতি ঐশী ঘোষ। তাঁকে এনেই নির্বাচনের আগে যাদবপুরের এসএফআইকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইছে বাম নেতৃত্ব। পরিকল্পনা ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি ঐশী ঘোষ বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া নীতি। এই নীতির জেরে কোনও বহিরাগত রাজনৈতিক প্রচারের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যলয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। যার জেরে ক্যাম্পাসের বাইরেই ঐশী ঘোষের সভা করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে তারা ঠিক করেছিল ঐশীকে জোর করেই ক্যাম্পাসে ঢুকিয়ে প্রচারের কাজ সারবে। কিন্তু সিপিএম নেতৃত্ব এবিষয়ে এসএফআই নেতৃত্বকে বোঝান, তাঁরা যদি একাজ করে তাহলে টিএমসিপি ও এবিভিপিও সুযোগ পেয়ে যাবে বহিরাগত নিয়ে এসে ভোট করানোর। যা ১৮ তারিখ ভোটের আগে রাজনৈতিকভাবে ভুল হয়ে যাবে। তাছাড়া এবার যাদবপুরের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সব আসনই প্রার্থী দিয়েছে এবিভিপি। লাগাতার প্রচারে ভালো সাড়াও পাচ্ছে তারা। অন্যদিকে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেড়ে ছন্নছাড়া হয়ে রয়েছে এসএফআইয়ের যাদবপুর ইউনিটেও। রয়েছে অন্দরের নানা সমস্যা।