কলকাতা: শহর কলকাতা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত স্ট্রীট ফুড বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে,তার খাওয়ারের মান গুণগতমান পরীক্ষা করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে নজর দিয়েছে কলকাতা পুর নিগম। এই বিষয়টি নিয়ে বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই কলকাতা পুর নিগমের পাশাপাশি কিনলে এবং কোকা কোলার মত বহুজাতীক সংস্থা একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার কলকাতা পুর নিগময় সেই সার্ভে রিপোর্ট জমা পড়েছে। কলকাতা পুর নিগম, কিনলে এবং কোকাকোলার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া স্টাডি গ্রুপের চেয়ারম্যান পদ্মশ্রী ডঃ ইন্দিরা চক্রবর্তী এই রিপোর্টটি জমা দেন। এই সার্ভে রিপোর্ট এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শহর কলকাতার স্ট্রিট ফুডের মান উন্নত করা। যদিও এদিন পুর নিগমর ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের কাছে শহর কলকাতার বেশ কিছু এলাকায় স্ট্রীট ফুড প্রস্তুত করা ও পরিবেশন করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে এই স্টাডি গ্রুপের পক্ষ থেকে। আগামী দিনে যদি দ্রুত এই গাফিলতি গুলি ঠিক করে ফেলা সম্ভব হয় তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্য ও শহরগুলোর তুলনায় কলকাতার স্ট্রিট ফুডের চাহিদা একদিকে যেমন বাড়বে অন্যদিকে দেশের অন্যান্য শহরে স্ট্রীট ফুডের গুণগত মানের থেকে কলকাতার স্ট্রিট ফুড এর গুণগত মান অনেক বাড়বে এবং নিরাপদ হয়ে উঠবে বলে মনে করেন ডঃ ইন্দিরা চক্রবর্তী।
পুর নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, সমগ্র কলকাতাকে ১০টি জোনে ভাগে ভাগ করে ১০৪টি জায়গায় হকারদের বিক্রি করা খাবারের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। লেভেল ১ ও লেভেল-২ এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে গোটা সমীক্ষাটি কে। লেভেল-১ এর কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইতিমধ্যেই একবার ফুড ভেন্ডরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তারপর তাঁরা কতটা সচেতন হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই সমীক্ষা চালানো হয়।এদিন স্টাডি গ্রুপের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কলকাতা পুর নিগমের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানান, শহর কলকাতায় কিছু কিছু স্থানে আগামী দিনে কলকাতা পুর নিগমের পক্ষ থেকে স্ট্রীট ফুড হাব গড়ে তোলা হবে। এক্ষেত্রে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রামকে কাজে লাগানো হতে পারে বলেও জানান অতীন বাবু।