এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি মমতার

এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৬০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ দাবি মমতার

কলকাতা:  একদিকে করো না মোকাবিলার বিরাট খরচ অন্যদিকে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলা লকডাউন। দুই মিলিয়ে প্রবল চাপ পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। এমত অবস্থায় এর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়ে দরবার করেছে রাজ্য। রাজ্যের কোষাগারের দুরাবস্থার কথা উল্লেখ করে কমপক্ষে ২৫ হাজার কোটি টাকা অর্থ সাহায্যের আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কেন্দ্রের কাছে বকেয়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রাপ্য টাকা ও অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন লকডাউন এর ফলে রাজ্য সরকারের কর এবং রাজস্ব আদায় প্রায় শূন্যে এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় অন্যান্য অনেক রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন পেনশন কেটে নিলেও এ রাজ্য সে পথে হাঁটেনি। তপশিলি জাতি উপজাতি কৃষক মহিলা অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকসহ সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের খরচ এই অবস্থাতেও রাজ্য সরকার চালিয়ে যাচ্ছে।পাশাপাশি বাজার থেকে নেওয়া ঋণের সুদও মেটাতে হচ্ছে ।

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি করণা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে  প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছাঁটাই করেছে। একইসঙ্গে জিএসটি সহ বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে।জানিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি তার কলকাতা সফরের সময় ব্যক্তিগতভাবে দেখা করে ওই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মমতা। এদিন সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রুত ওই টাকা মিটিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে বাড়তি অর্থের জোগাড় করতে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার ব্যাপারে বাজেট নিয়ন্ত্রণ বিধি কিছুটা শিথিল করতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেকথাও আরো একবার প্রধানমন্ত্রী কে এদিন স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য কে সহায়তা করলে তবেই করণা মহামারীর বিরুদ্ধে এই লড়াই জেতা সম্ভব হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *