কলকাতা: চলছে ভোট৷ চাঙ্গা তৃণমূল৷ বামেরাও মরিয়া চেষ্টা করছে, নিজেদের পায়ের তলার মাটি নতুন করে ফিরিয়ে আনা৷ বিজেপি অবশ্য নরেন্দ্র মোদির উপর ভর করে এই কেন্দ্রগুলির কয়েকটিতেও শাসক দলকে বেগ দিতে বদ্ধপরিকর। এই অবস্থায় নিজের দল সিপিএম এবং বাম শিবিরকে চাঙা করতে মুখ খুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
নাম না করে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধান্দাবাজদের চৌকিদার’ বলে তোপ দেগেছেন। অন্যদিকে, রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে অন্যতম ‘বিপদ’ বলে অভিহিত করেছেন। কোনও সভা বা সাংবাদিক বৈঠকে নয়, দলের দৈনিক মুখপত্র ‘গণশক্তি’তে এক সাক্ষাৎকারে বুদ্ধদেববাবু দক্ষিণবঙ্গের ভোটারদের কাছে বাম প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানাতে গিয়েই বিজেপি ও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দ্ব্যর্থহীনভাবে।
২০১১ সালে বিধানসভার ভোটে পরাজিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে আর যুক্ত রাখতে চাননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এর পিছনে একদিকে যেমন তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণ রয়েছে, তেমনই কিছুটা ‘অভিমান ও হতাশা’ও কাজ করেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বুদ্ধদেববাবু বলেছেন, নরেন্দ্র মোদি হলেন দেশের উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও পুঁজিপতিদের মডেল। আসলে ধান্দাবাজ পুঁজিপতিদের কাছে মোদি এই বার্তা দিয়েছেন যে আমি তোমাদেরই চৌকিদার। মানুষের সামনে এখন দায়িত্ব হল, এই মডেলকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া। সারা দেশে বামপন্থা, ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীন অর্থনৈতিক বিকাশই বিকল্প পথ। এটাই বিকল্প মডেল। তাঁর কথায়, ২০০৪ সালের মতো এবারও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে কোণঠাসা করে কেন্দ্রে একটা ধর্মনিরপেক্ষ বিকল্প সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বামপন্থীদের পক্ষে নীতি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করা সম্ভব। সংসদে বামপন্থীদের শক্তিবৃদ্ধির যথেষ্ট বাস্তবতা রয়েছে দেশের সামনে।