নয়াদিল্লি: গত দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা৷ প্রিয়জনকে হারিয়ে বহু মানুষ দিশেহারা৷ ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক অবস্থা৷ এমতাবস্থায় সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, কবে কাটবে এই দুঃসময়? আইসিএমআর-এর শীর্ষ অধিকর্তার জবাবে আশার আলো৷ তিনি জানালেন, মার্চেই বদলাবে পরিস্থিতি৷ এন্ডেমিক হবে এই প্যান্ডেমিক৷
আরও পড়ুন- অব্যাহত কর্মী বিক্ষোভ, তবুও ‘মমতা ঝড়ে’র স্বপ্ন দেখছেন নেতারা!
আইসিএমআর-এর অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ সমীরণ পাণ্ডা বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছিল মহারাষ্ট্র, দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গে। ঝড়ের গতিতে বেড়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছিল মৃত্যুর হার৷ তবে সেই পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিকের পথে৷ আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে৷
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৩-এ। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৯২ জন৷ গত তিন সপ্তাহে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৩০ পার। শুক্রবারও রাজ্যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩-এ। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ৩.১০ শতাংশ। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতেও নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ৷
আইসিএমআর-এর শীর্ষ অধিকর্তার দাবি, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহের পর সংক্রমিতের সংখ্যা আরও কমবে৷ সেই সঙ্গে কমবে তৃতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতাও। করোনা সাধারণ সর্দি-কাশিতে পরিণত হবে। আবারও পুরনো ছন্দ ফিরে পাবে সাধারণ মানুষ৷ তবে এখনই মাস্ক ব্যবহারে ইতি পড়বে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে৷