বাংলাজুড়ে ‘কার্যত’ লকডাউন, কী ভাবে হবে টিকাকরণ? চিন্তায় আমআদমি

বাংলাজুড়ে ‘কার্যত’ লকডাউন, কী ভাবে হবে টিকাকরণ? চিন্তায় আমআদমি

 

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামীকাল ১৬ মে থেকে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনটাই জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে জরুরি পরিষেবা বাদে কার্যত সব কিছুই বন্ধ থাকবে আগামী ১৫ দিন৷ বন্ধ থাকবে সব রকম পরিবহণ ব্যবস্থা এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের মধ্যে কী ভাবে সম্পন্ন হবে টিকাকরণের কাজ? 

আরও পড়ুন- ৩০ মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন! কী খোলা, কী বন্ধ, দেখে নিন

করোনা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে বারবার টিকাকরণের উপর জোড় দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নেই কোনও রাজ্যেই৷ যার জেরে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের ব্যবধানও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু এর উপর আরও বেশি সমস্যা হয়ে দাঁড়াল লকডাউনের কাঁটা৷ লকডাউন হলে কী ভাবে টিকা পাবে মানুষ? বাড়ছে উদ্বেগ৷ যানবাহন বন্ধ থাকায় বাড়ি থেকে টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রেও বিস্তর সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে৷ কারণ আগামী ১৫ দিন ট্রেন তো বটেই, বন্ধ থাকবে মেট্রো, বাস, ট্যাক্সি, অটো, টোটো এবং ফের সার্ভিস৷ ফলে লকডাউনের জেরে কিছুটা হলেও সমস্যা দেখা দিতে পারে৷

আরও পড়ুন- BREAKING: আগামী ১৫ দিন লকডাউনের পথে হাঁটল রাজ্য

যদিও বলা হয়েছে, টিকাকরণ কর্মসূচি আগের মতোই চলবে৷ কারণ এটি জরুরি পরিষেবা৷ তবে টিকাকরণ কেন্দ্রে পৌঁছনোর দায়িত্ব নিজেদের৷ টিকা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়ও দেওয়া হয়েছে৷  এই কড়াকড়ির মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেরনোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, টিকা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাইভেট গাড়ি বার করা যাবে৷ এমনকী টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ট্যাক্সি বা অটোও ভাড়া করা যেতে পারে৷ কিন্তু  গাড়ি ভাড়া পাওয়া নিয়ে যে সমস্যা হবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই৷ 

৩০ মে পর্যন্ত জরুরী পরিষেবা ছাড়া সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে এই দিনগুলিতে। এর পাশাপাশি আগের মতই বন্ধ থাকবে, শপিং মল থেকে শুরু করে বার, রেস্তোরাঁ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এছাড়াও এতে জানানো হয়েছে যে ধর্মীয় থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জনসমাবেশ সব বন্ধ থাকবে। জরুরী পরিষেবার মধ্যে রয়েছে আদালত, টেলিকম পরিষেবা, সংবাদমাধ্যমের অফিস, স্যনেটাইজেশন বিভাগ, বিদ্যুৎ পরিষেবা, ইন্টারনেট, পানীয় জল পরিষেবা। সকালে ৩ ঘণ্টা খোলা থাকবে বাজার, মুদিখানা দোকান। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টির দোকান। ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে ২টো পর্যন্ত। একই সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। তার জন্য আলাদা অনুমতি নিতে হবে। ওষুধের দোকান ও চশমার দোকান সাধারণ নিয়মে খোলা থাকবে।
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *