হাওড়া-এনজেপি রুটে ছুটবে বন্দেভারত, অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তিতে মোড়া সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন

হাওড়া-এনজেপি রুটে ছুটবে বন্দেভারত, অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তিতে মোড়া সেমি হাইস্পিড এই ট্রেন

কলকাতা: আর মাত্র এক দিনেক অপেক্ষা৷ ৩০ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু হবে বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।  আগামীকাল হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি রুটে রাজ্যের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়া স্টেশন জুড়ে এখন সাজো সাজো রব। সেমি হাই স্পিড এই ট্রেনে চেপে ৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হাওড়া থেকে পৌঁছে যেতে পারবেন নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি স্টেশনে৷ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি দুরন্ত গতি সম্পন্ন অত্যাধুনিক এই ট্রেনে  রয়েছে নজর কাড়া সব প্রযুক্তি৷   রিজেনেরিটিভ ব্রেকিং সিস্টেম থেকে শুরু করে রয়েছে ওয়াইফাই (WiFi) জিপ্এস (GPS)। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার৷ তবে আপাতত সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতিতেই হাওড়া-জলপাইগুড়ি রুটে ছুটবে বন্দে ভারর এক্সপ্রেস। অত্যাধুনিক এই ট্রেনে কী কী প্রযুক্তি রয়েছে দেখে নেওয়া যাক- 

রিজেনেরিটিভ ব্রেকিং সিস্টেম – 
সেমি হাই স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে রিজেনেরিটিভ ব্রেকিং সিস্টেম। সাধারণত, ইলেকট্রিক গাড়িতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷ এই প্রযুক্তির বিশেষত্ব কী? মূলত ব্রেক কষার সময় যে কাইনেটিক শক্তি নষ্ট হয় এই প্রযুক্তির সাহায্যে বিশেষ মোটরের মাধ্যমে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়। এর ফলে একদিনে প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে৷ 
 

ওয়াইফাই-
এখন ইন্টারনেটের দুনিয়া৷ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে থাকছে অন বোর্ড ওয়াইফাই ব্যবস্থা।  এর ফলে যাত্রীরা ট্রেনে বসে সহজেই মোবাইল, ল্যাপটপ বা অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। মাঝে পথে নেট ফুরনোর কোনও টেনশন থাকবে না৷  

জিপিএস-
ওয়াইফাই-এর পাশাপাশি  দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনে থাকছে জিপিএস। যা যাত্রীদের ট্রেনের অবস্থান সম্পর্কে সূচিত করবে।

অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর
দুই কামরার মধ্যে যাতায়াতের করার জন্য যাত্রীের আর দরজা ঠেলতে হবে না৷ যাত্রীদের। সেখানে থাকছে অটোমেটিক স্লাইডিং ডোর। থাকছে সেন্সর, ফলে দরজার সামনে কেউ এসে দাঁড়ালে নিজে থেকেই খুলে যাবে ট্রেনের দরজা৷ শুধু তাই নয়, ট্রেনের সবকটি দরজা বন্ধ হওয়ার পরই এই ট্রেন চলতে শুরু করবে।

ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সুরক্ষার উপর কড়া নজর রয়েছে ভারতীয় রেলের। তাই কোচের বাইরে ও ভিততে থাকছে সিসি টিভি ক্যামেরা।

৩২ ইঞ্চি টিভি
ট্রেনের প্রতিটি কামরায় রাখা হবে ৩২ ইঞ্চি টিভি। সেখানে শুধু যাত্রা সংক্রান্ত  তথ্যই দেখানো হবে না, থাকবে বিনোদনের ব্যবস্থাও। থাকবে টকব্যাক বাটন৷ সমস্যায় পড়লে ট্রেন থামানোর জন্য আর চেন টানতে হবে না। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রতিটি কামরায় থাকবে এই বিশেষ টকব্যাক ফিচার। যার ফিচারের মাধ্যমে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সরাসরি চালকের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন যাত্রীরা।

রিডিং লাইট সেন্সর
সিটের উপরে থাকবে রিডিং লাইট৷ সেটি অন করার জন্য কোনও সুইচ টেপার প্রয়োজন নেই। এই লাইটেও রয়েছে বিশেষ সেন্সর। লাইটের সামনে হাত নিয়ে গেলেই আলো জ্বলে উঠবে।