মমতার সভায় উধাও সেই তেজ, উদ্দীপনা! উন্নয়নেই কি হোঁচট খেল শাসক দল?

মমতার সভায় উধাও সেই তেজ, উদ্দীপনা! উন্নয়নেই কি হোঁচট খেল শাসক দল?

a5003bf85f7af6f80717fbea47b19b0b

পুরুলিয়া: ভাঙা পা নিয়েই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সোমবার সকালে ঝালদায় একটি সভা করেন তিনি৷ তার পর বলরামপুরে ছিল তাঁর জনসভা৷ রাজনৈতিক দিক থেকে এই সভার উত্তাপ যেমনই থাক, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বদলে গিয়েছে মঞ্চের ধরন৷ সিড়ি নয়৷ বরং মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে থাকছে ফ্ল্যাট প্ল্যাটফর্ম৷ 

আরও পড়ুন-  বিক্ষোভের মাঝে এবার অর্জুন, প্রার্থী বদল নিয়ে হুলস্থূল অব্যাহত

কারণ, মুখ্যমন্ত্রী হুইল চেয়ারে বসেই এখন সভা করছেন৷ ফলে তাঁর চেয়ার মঞ্চের উপর নিয়ে আসার সুবিধার্থেই এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম বানানো হচ্ছে৷ সাধারণত সারা মঞ্চ ঘুরে ভাষণ দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণই ভিন্ন৷ একই জায়গায় হুইলচেয়ারে বসে বক্তব্য রাখতে হচিছে তাঁকে৷ ফলে কোথাও যেন চেনা ছন্দের অভাব৷ আমরা যে ছন্দে তাঁকে দেখতে অভ্যস্ত, সেই ভাবে ধরা দিতে পারছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ 

এদিনের জনসভায় ভিড় জমিয়েছিলেন মূলত আদিবাসী ও গরিব মানুষ৷ শুরুর দিকে সভায় তেমন ভিড় ছিল না৷ কিন্তু তিনি আসতেই ভিড় জমতে থাকে৷ তবে অন্যান্য সভার চেয়ে মানুষের উপস্থিতি ছিল অনেক কম৷ অতীতে এই পুরুলিয়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ কিন্তু আজ কেন এক কম লোক উপস্থিত হল, তা নিয়ে শুরু হয়েগিয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণ৷ 

গত লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার অধিকাংশ বিধানসভা কেন্দ্রই দখলে রেখেছিল বিজেপি৷ বলরামপুরের শান্তি মাহাতোর কেন্দ্রেও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ পুরুলিয়ায় রুক্ষ মাটিতে ক্রমশ শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি৷ সেই তুলনায় গত এক দেড় বছরে তৃণমূল কতটা শক্তি বৃদ্ধি করতে পেরেছে, তার পরীক্ষা ছিল আজ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেও আজ প্রচুর লোকসমাগম হল না৷ ফলে এখানে তৃণমূলের খুঁটি কতটা শক্ত হল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল৷ 

আরও পড়ুন- ‘বিজেপির জন্য শোভন চ্যাপ্টার শেষ’! ব্যক্তি-সম্পর্কই কি কাল হল?

এক সময় এই বলরামপুর ছিল মাওবাদীদের আখড়া৷ পরে বলরামপুর মাওবাদীদের হাত থেকে উদ্ধার করা গেলেও, এখানে অংখ্য ক্ষত তৈরি করে গিয়েছিল তারা৷ এক সময় সিপিএম-এর কর্মী সমর্থকদের প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখা হত৷ গত ১০ বছরে বলরামপুরে অনেকখানি শান্তি ফিরেছে৷ কোনঠাসা মাওবাদীরা৷ তবে গত ১০ বছরে এই জেলায় যে উন্নয়ন আশা করা হয়েছিল তা কি হয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী আজ নিজে বলেছেন, এখানকার অধিকাংশ যুবক সিভিক ভলেন্টিয়ার বা জঙ্গল পাহারার কাজ করে৷ কিন্তু স্থায়ী চাকরি কোথায়? আঙুল তুলেছে বিরোধীরা৷   রাস্তা হয়েছে৷ কিন্তু ইস্তেহারে থাকা সব প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি৷ উন্নত হয়নি পর্যটন শিল্প৷ যা বিরোধীদের হাতে অন্যতম অস্ত্র হতে চলেছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *