কলকাতা: এবার ম্যাগনেট ম্যানের পর্দাফাঁস৷ গায়ে আটকে যাচ্ছে লোহার হাতা, চামচ এমনকী মোবাইল ফোন! ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এমনটাই হচ্ছে বলে বিভিন্ন জেলা থেকে খবর আসছিল৷ কিন্তু পিঠে পাউডার লাগাতেই ম্যাজিকের মতো উড়ে গেল শরীরের চৌম্বক শক্তি৷
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই দিল্লি সফরে রাজ্যপাল, তুঙ্গে জল্পনা
বিজ্ঞান মঞ্চ প্রথম থেকেই বলে আসছে, এই ধরনের মানব শরীরে কোনও ম্যাগনেটিভ পাওয়ার তৈরি হতে পারে না৷ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শরীরে চৌম্বকীয় শক্তি তৈরি হয়েছে এবং তার জেরেই গায়ে লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছে বলে যে দাবি করা হচ্ছিল, তা গুজব৷ সেই প্রমাণ মিলল কাটোয়ায়৷ শমীক চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি ১ তারিখ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাগনেটিভ পাওয়ারের কথা শুনে তাঁরাও পরীক্ষা করেন এবং দেখেন শমীকবাবুর শরীরেও লোহার জিনিস আটকে যাচ্ছে৷ কিন্তু তাঁর পিঠে পাউডার মাখানোর পরেই রহস্য উন্মোচিত হয়ে যায়৷ উধাও হয়ে যায় চৌম্বক শক্তি৷ বিজ্ঞানমঞ্চ বলছে, বর্ষাকালে আদ্রতা বেশি৷ তাই মানুষের শরীরে ঘামও বেশি হচ্ছে৷ সে কারণেই শরীরে যখন কিছু ছোঁয়ানো হচ্ছে, সেটা লেগে যাচ্ছে৷ এছাড়াও শরীরের খাঁজেও অনেক কিছু আটকে যাচ্ছে৷ তাই পাউডার দেওয়ার পরেই ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে ম্যাগনেটের ক্ষমতা৷
আরও পড়ুন- আগামী ৫ বছরের জন্য আইপ্যাকের সঙ্গে গাঁটছড়া তৃণমূলের, পিকে’র ভূমিকা নিয়ে জল্পনা
চৌম্বক শক্তির পর্দা ফাঁস করেছেন বসিরহাটের সম্পাদক মলয় মণ্ডলও৷ তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীর নাকি চুম্বকে পরিণত হচ্ছে৷ এটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক৷ তিনি একটি ভিডিওতে দেখান তাঁর ছেলে ঈশান মণ্ডল করোনা ভ্যাকিসিন না নিলেও তার পিঠে কী ভাবে কয়েন আটকে রয়েছে৷ বুকে আটকে যাচ্ছে চামচ৷ তিনি যুক্তি দিয়ে বোঝান, চামচের পিছনে একটি বাঁক থাকে৷ এই বাঁক থাকার জন্য চামড়ার সঙ্গে চামচের পৃষ্ঠতলের সঙ্গে পৃষ্ঠটান তৈরি হচ্ছে৷ সেই কারণেই এটা শরীরে আটকে থাকছে৷ অথচ ভারী সাঁড়াশি কিন্তু শরীরে আটকাচ্ছে না৷ এর থেকেই প্রমাণিত হয় গোটা বিষয়টিই গুজব ও ভিত্তিহীন৷