কলকাতা: ফের ভোটের বাজারে ফের নগদ ৫০ লক্ষ টাকা সহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করল করল৷ ধৃতের নাম শুভজিৎ দাস৷ বাড়ি বীরভূমে৷ রামপুরহাট থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ টাকা৷ আজ, অভিযুক্ত টাকা সহ গ্রেপ্তার করে বড়বাজার থানার পুলিশ৷ ঠিক কী কারণে বিরুল পরিমাণ টাকা বীরভূম থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছিল, তা জানতে ধৃতকে জেরা শুরু করেছে পুলিশ৷ এই ঘটনার পিছনে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার কাজ চলছে৷
আশঙ্কা আগেই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপির টাকা ছড়াতে পারে, এই আশঙ্কায় রাত জাগার পরামর্শও দিয়েছিলেন মমতা৷ এবার সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে ভোটের আগে উদ্ধার হল নগদ এক কোটি টাকা৷ আসানসোল স্টেশনে তল্লাশি করে দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়কের ব্যাগ থেকে উদ্ধার কোটি টাকা নগদ অর্থ৷ বেহিসেবি টাকা রাখার অভিযোগে দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক-সহ আরও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর৷
জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে নির্বাচনে খরচের জন্য বাংলায় আনা হচ্ছিল এই টাকা৷ আসানসোল স্টেশনে তল্লাশি চালিয়ে নগদ এক কোটি টাকা সহ দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও তার সঙ্গী লক্ষ্মীকান্তকে গ্রেপ্তার করে রেল পুলিশ৷ বেহিসেবি টাকা রাখার অভিযোগ গৌতম ও লক্ষ্মীকান্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলে পুলিশ৷ আজ, ধৃতদের পাঁচ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷
আসানসোলের পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মে দুই যুবককে দেখে সন্দেহ হয় জিআরপির। ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল দু’জন৷ সন্দেহ হওয়ায় তল্লাশি চালায় পুলিশ৷ ওই দুই ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক কোটি টাকা৷ যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসানসোল স্টেশনে আসে আয়কর বিভাগের প্রতিনিধিরা৷ ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ পরে, ধৃতদের জেরা করে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে পিংলায় বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। নির্বাচনী আচরই বিধি অনুসারে প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা নগদ অর্থ নিজের সঙ্গে রাখতে পারেন। সেই অনুসারেই পুলিশ তার বেশি টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধার নগদ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার সোর্স মারফত খবর আসে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হাতবদল হতে চলেছে বিপুল পরিমাণ নগদ কালো টাকা। গোয়েন্দা বিভাগের পাঁচটি দল কলকাতার মোট ১২টি এলাকায় তল্লাশি চালায়। বড়বাজার থানা এবং পোস্তা থানার অন্তর্গত ৪টি এলাকা থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ কোটি ছয় হাজার টাকা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চার জন টাকা পাচারকারীকে। কীভাবে তাদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা এল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।