বর্ধমান: কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর! এই বিশ্বাসের ঘাটতি প্রাণ কেড়ে নিল তরুণী প্রেমিকার৷ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে ভাতারের খেড়ুর গ্রামে৷ খুনের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, ২৫ বছরের তরুণ জয়ন্ত সিংয়ের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল দু’সন্তানের মা তথ এক প্রান্তিক চাষীর স্ত্রী পম্পা রায়৷ বিগত ৩ বছর ধরে এই সম্পর্ক চলছিল৷ মাত্র সাত মাস আগে এই যুগল এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়৷ বহু খোঁজাখুঁজির পরে তাঁদের সন্ধান পেয়ে পম্পাকে তার মাকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন৷ সন্তানের ডাক কে অস্বীকার করতে পারে? নিজের সংসারে ফিরে আগের মতো ঘরকন্যায় মন দেয় পম্পা রায়৷ কিন্তু প্রেমিকার এমন শ্যাম এবং কূল একসাথে রাখার বাসনা কে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারেনি জয়ন্ত সিং৷
পম্পার শাশুড়ি মীরা রায়ের কথায়, লোক দেখানোর জন্য জয়ন্ত সাথে সম্পর্ক নেই, এখন আচরণ করলেও ফোনে রীতিমতন যোগাযোগ ছিল ওই যুগলের৷ ঘটনার দিন রাতে পম্পাকে গভীর রাতে ফোন করে ডেকে পাঠায় জয়ন্ত৷ তারপর পম্পার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ পরদিন সকালে পার্শ্ববর্তী জলাশয় থেকে হাত বাঁধা অবস্থায় পম্পার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ ওই একই দিনে জয়ন্ত বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়৷ একই দিনে এই প্রেমিক যুগলের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকা বেশ থমথমে৷ এই ঘটনা নিছক প্রেমের ব্যর্থতায় প্রতিহিংসা ও নাকি অবসাদে আত্মহত্যা? পিছনে আলাদা কোনও রহস্য লুকিয়ে আছে? পুলিশ তা অনুসন্ধান করছে৷