রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ কুলিক পাখিরালয়ে শুরু হল এবছরের পাখি গণনার কাজ। জেলার ৩ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুই দিন ব্যাপী চলবে এই গণনা।
এবছর পরিযায়ী পাখির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে অনুমান করছেন গণনা করতে আসা পাখি প্রেমীরা। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শামুকখোল পাখির অভয়ারণ্যটি রায়গঞ্জ শহর থেকে একটু দূরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের গা ঘেঁষে অবস্থিত। এখানে ওপেন বিল স্টক ছাড়াও নাইট হেরন, ইগ্রেট, কর্মোরেন্ট জাতীয় পরিযায়ী পাখি, বর্ষার সময় প্রজননের জন্য বাসা বাঁধে।
এদিন কুলিক পাখিরালয়ের রেঞ্জ অফিসার প্রমিকা লামা বলেন, ‘১৯৮৪ সাল থেকে এই অভয়ারণ্যে পাখি গণনার কাজ হয়ে আসছে। প্রথম বছর ২৯ হাজারের সামান্য বেশি পাখি এসেছিল। মাঝে বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দু একবার পাখির সংখ্যা কমলেও গত বছর পাখির সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজারেরও বেশি।’ তিনি বলেন, ‘এবার উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালস, রায়গঞ্জ পিপলস ফর এ্যানিম্যালস, নর্থ বেঙ্গল ফটোগ্রাফিক ক্লাব এই ৩ টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা পাখি গণনায় অংশ নিয়েছে।’
যে অঞ্চলে পাখি গণনা করা হচ্ছে, সেখানে ১১৩৪ টি গাছকে নাম্বারিং করা হয়েছে। প্রতি গাছে পাখির বাসার সংখ্যা এবং পাখির সংখ্যার গড় করে মোট পাখির সংখ্যা গণনা করা হয়।এবছর পরিবেশ প্রকৃতি অনুকূল রয়েছে। তাই পাখির সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে।’ উত্তর দিনাজপুর পিপলস ফর এ্যানিম্যালসের সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া। তিনিও আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘সকাল থেকে পাখি গণনার কাজ করছি। আমরা আমাদের সংস্থা থেকে অনেকেই এসেছি। পাখি গণনার কাজ করতে গিয়ে মনে হচ্ছে, এবার পাখির সংখ্যা বেড়েছে। যে সমস্ত গাছে আগে বাসা বাঁধেনি, এবার সেই গাছ গুলোও পাখিতে ভরপুর। দীর্ঘ লকডাউনের জন্যই এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমাদের অনুমান।