কলকাতা: প্রেমিকার শাধ-আহলাদের মর্যাদা দিতে গিয়ে এবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল প্রেমিক৷
বেশি কিছুই না, প্রেমিকা শখ করে একটা গয়না চেয়েছিলেন প্রেমিক হরেকৃষ্ণ দাসের কাছে৷ হরেকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন স্বর্ণকার৷ উত্তর কলকাতার ভবকৃষ্ণ দাস স্ট্রিটে একটি সোনার দোকানে কর্মরত৷ কর্মস্থল সংলগ্ন এলাকার এক যুবতীর সাথে তাঁর আলাপ হয়৷ অল্প দিনের মধ্যেই সেই আলাপ প্রেমের চেহারা নেয়৷ স্বাভাবিক ভাবেই উভয় পক্ষের মধ্যে একে অন্যকে নিজের চাহিদা ইচ্ছে, পাওয়া না পাওয়ার কথা বিনিময় শুরু হয়৷
প্রেমিকার ইচ্ছে ছিল, সুন্দর কারুকার্য করা সোনার গয়না পরার৷ প্রেমিকের তো সেই সাধ পুরণ করতেই হবে পথে যত বাধা বিপত্তিই আসুক না কেন! প্রিয় মানুষের শখ পূরণের জন্য যে কোনো বাধাই তুচ্ছ৷ তো যেমন ইচ্ছে সেরকমই কাজ৷ ঘটনার দিন কর্মস্থলে একা থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভল্ট থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা ও বেশ কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে সে চম্পট দেয়৷
অবশ্য দোকানে চাবি পাশের দোকানে রেখে যায় ভদ্রতার খাতিরে৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি৷ দোকানের মালিকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে ধরা পরে ওই যুগল৷ প্রেমিকার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয় প্রায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়না৷