নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্যানিং: দলে সম্মান পাচ্ছি না, কাজ করতে পারছি না মানুষের জন্য৷ যারাই এখন তৃণমূল ছাড়ছেন তাদের মুখেই এই এক কথা৷ অন্যথা হল না ডায়মণ্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদারের ক্ষেত্রেও৷ একইকারণ দেখিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন৷ একইসঙ্গে দলের বিরুদ্ধে উগড়ে দিলেন একরাশ ক্ষোভ৷
গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই দলের বিরুদ্ধে লাগাতার ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার। বেশ কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে একধিক পোস্ট করতেও দেখা যায় তাঁকে। তিনি সরাসরি দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছিলেন, “চার বছর ধরে আমাকে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় নি। কোন অনুষ্ঠানেও ডাকা হয় নি।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়। এদিনও সেই কথাই বলেন দীপকবাবু৷ তিনি বলেন, তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছাড়া কোনও রাজনৈতিক সভায় ডাকা হত না৷ এমনকি কোনও প্রশাসনিক সভাতেও আমন্ত্রণ করা হত না তাঁকে৷
তাই এবার সব জল্পনা সত্যি করে দল থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি৷ এখন প্রশ্ন এবার কী বাকীদের পথ অনুসরণ করে তিনি যাবেন বিজেপিতে? যদি এবিষয়ে ধোঁয়াশাই রাখেন তিনি৷ বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে তা কেউ জানে না৷ একইসঙ্গে তিনি জানান, রাজনীতিতেই থাকতে চান তিনি৷ তবে তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়লেও বিধায়ক পদ এখনও ছাড়েননি দীপক হালদার৷ এখন দেখার আগামীতে কী সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ তবে তাঁর এখন রাজনীতিতে থাকার কথায় তার বিজেপি যোগের জল্পনার পাল্লাই ভারী হচ্ছে৷