বলরামপুর: করোনা আক্রান্তের জেরে মানুষ গৃহবন্দি৷ ভারতে ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১ জমের মৃত্যু হয়েছে৷ ভারতে লকডাউনের জেরে বাইরে থেকে কাজ থেকে ঘরে ফিরছে মানুষ৷ আর বাইরে থেকে ফেরা মানেই নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ কোথাও কোথাও গ্রামের ভিতরেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কোথাও আবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে৷ কিন্তু পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার ভাঙ্গিডি গ্রামে অভিনব ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গাছেই ব্যবস্থা করা হল কোয়ারেন্টাইনে৷
পুরুলিয়ার ভাঙ্গিডি গ্রামের সাত জন চেন্নাই থেকে গ্রামে ফিরেছেন৷ কিন্তু গ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনের সেইভাবে ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়৷ একই শৌচালয় ব্যবহার করতে হয়৷ তাছাড়া গ্রামে এক ঘরে অনেকে থাকেন৷ সাত জনের একজন করোনা আক্রান্ত হলে সেখান থেকে সবার ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে৷ তাই ওই সাত জনকে গ্রামেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷ গ্রামের বাইরে একটা বড় গাছে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ বড় গাছেই সাতটা খাটিয়া পাতা রয়েছে৷
সেই খাটিয়াগুলোও আবার এক মিটার দূরে দূরে রয়েছে৷ গ্রাম থেকে খাবার আসে৷ সেই খাবার তাঁরা খান দুরত্ব বজায় রেখে৷ একদিকে লকডাউনের মধ্যে শহরে বাজারহাটে স্থানীয় মানুষদের ভিড় দেখা যায়৷ দুরত্ব বজায় রাখার বদলে মানুষের তাড়া আগে জিনিস কেনার৷ কিন্তু এত পুরুলিয়ার এত অজগ্রামে এই ধরনের সচেতনতা অবাক করবে৷ কিন্তু গাছের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের জেরে ঝড়ে, বৃষ্টিতে তাঁরা বিপাকে পড়বেন৷ আযোধ্যা পাহাড়ের কোলে ভাঙ্গিডি গ্রাম৷ জানা গিয়েছে, বৃষ্টি রোধ করতে প্ল্যাসটিক দেওয়া হয়েছে৷