লাঠি, বাঁশ উঁচিয়ে তৃণমূলী বাহিনীর লকডাউন শাসানি! সরব দিলীপ

লাঠি, বাঁশ উঁচিয়ে তৃণমূলী বাহিনীর লকডাউন শাসানি! সরব দিলীপ

কলকাতা: করোনা জেরে তোলপাড় গোটা বিশ্ব৷ প্রভাব পড়েছে ভারতেও৷ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বাংলা সহ গোটা দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার৷ লকডাউন ঘোষণা হলেও কোথাও কোথাও সেই বিধি তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই৷ আর সেই লকডাউন বিধি ভাঙা জনতাকে শিক্ষা দিতে ভরা বাজারে লাঠি হাতে শাসাতে দেখা গেল তৃণমূল নেতাকর্মীদের৷ খোলাবাজারে তৃণমূল কর্মীদের লাঠি, বাঁশ, ইউকেট হাতে কার্যত তাণ্ডব চালোর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, লকডাউন বিধি ভেঙে বাজারে ভিড় করছে জনতা৷ আর সেই বাজারের জনতার নিয়ন্ত্রণ করতে এবার লাঠি হাতে বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণে নামল তৃণমূল৷ লাঠি হাতে কার্যন্ত তাণ্ডব চালাতে গিয়েছে নিউটাউনের মৃধা মার্কেটে৷ লাঠিধারী তৃণমূল বাহিনীর দাবি, লকডাউন অনেকেই মানছেন না৷ লাঠি হাতে তা না তুলে নিলে, বল প্রয়োগ না করলে লকডাউন বিধি কেউ মানবে না৷ আর সেই কারণেই লাঠি, উইকেট, বাঁশ হাতে রাজপথে নেমে এবার কার্যত দাদাগিরি দেখালেও তৃণমূলের কর্মীদের একাংশ৷

লাঠিহাতে রীতিমতো দোকানে দোকানে দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের শাসাতে দেখা গিয়েছে৷ কোথায় কোথাও দেওয়া হয়েছে হুমকি৷ লাঠিধারী তৃণমূল বাহিনীকে দেখে কার্যত হতবাক স্থানীয়রা৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দিনরাত এক করে বাংলাকে করোনা মুক্ত করার লড়াইয়ে নেমেছেন, নবান্ন থেকে রাজপথে নেমে জনতার আশ্বস্থ করার চেষ্টা করছেন, তখন কেন এমন তাণ্ডব কর্মীদের একাংশের? আর এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

আজ সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করেন দিলীপ ঘোষ৷ সেখানে তৃণমূলের লেঠেল বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হন তিনি৷ বলেন, ‘‘লাঠি হাতে নিয়ে বাজারে ঘুরে বেড়ানো তৃণমূল কর্মীদের এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে৷ ভোট নিয়ন্ত্রণ করা, রাস্তায় যানজট নিয়ন্ত্রণ করা, তার মানে প্রশাসন কি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে? নাকি প্রশাসনের উপর কোনও অধিকার নেই? এখন তো কোনও যানজট নেই৷ পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার্সরা ফ্রি৷ তাদের কেন কাজে লাগানো হচ্ছে না? মানুষের বাড়ি বাড়ি থেকে বলা হোক আপনারা বেরোবে না৷ রেশন সমস্যা দূর করুক৷ করোনার মধ্যে এই সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের জন্য বিশৃঙ্খলা বাড়ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *