কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে গরম থেকে রেহাই আপাতত নেই। বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পরিস্থিতি রয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। একদিকে চড়া তাপমাত্রা। অন্যদিকে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এই কারণে ভ্যাপসা অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে। তাপমাত্রা বাড়লেও এই বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকার কারণে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিকে এখনও দক্ষিণবঙ্গে আসতে দেয়নি বলে আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন।
দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন ওড়িশা, বিহারেও তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের জন্য এখনও এমন কিছু বলা হয়নি। যদিও পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জায়গাতে ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বুধবার রাজ্যে সবথেকে বেশি তাপমাত্রা আসানসোলে (৪২ ডিগ্রি) ছিল।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফনি’ গত শনিবারই সরে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। কিন্তু এখনও বায়ুমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের দিক থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস আসছে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ওই উষ্ণ বাতাস ঢুকছে। এদিন আলিপুরে সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। যা গরমকালের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। বেশি জলীয় বাষ্পের জন্য ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি হচ্ছে। কিন্তু জলীয় বাষ্প থাকলেও এখনও বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরির সম্ভাবনা কম। ফলে চড়া রোদ থেকে নিস্তার নেই।
কলকাতায় গত ১০ বছরের মধ্যে মে মাসে একবার ছাড়া প্রতিবারই ৩৮ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা হওয়ার নজির আছে। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৬, ২০১৪, ২০১২ ও ২০০৯ সালে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। ২০০৯ সালের ৯ মে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.১ ডিগ্রি। তবে মে মাসে কলকাতায় সবর্কালীন বেশি গরম পড়েছিল ১৯৪৫ সালে। ওই বছরের ২৮ মে কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।