হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাঁপছে শৈলশহর

হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় কাঁপছে শৈলশহর

শিলিগুড়ি: প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপছে শৈলশহর। আজ সকালে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রির নিচে পৌঁছে যায়। প্রবল ঠান্ডায় দার্জিলিংয়ের পর্যটকেরা বাইরে বের হতে সাহস করছেন না৷ ঘুমে এদিন তাপমাত্রা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ০.৩ ডিগ্রিতে। দার্জিলিং বাসষ্ট্যান্ডের কাছে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ০.৫ ডিগ্রিতে। এদিন দার্জিলিংয়ে সকাল থেকেই প্রচণ্ড হাওয়া শুরু হয়৷ আকাশ ছিলো মেঘলা৷ প্রচন্ড ঠাণ্ডায় এদিন সকালে দার্জিলিং ছিল জনমানবশূন্য৷

প্রচন্ড দরকার ছাড়া এদিন বাইরে বের হতে সাহস করেননি কেউই৷ আবহওয়া খারাপ থাকায় সমতল থেকে কোন গাড়ি পাহাড়ে ওঠেনি৷ আবার পাহাড় থেকে কোনও গাড়িই নিচে নামেনি৷ আবহওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিস সব চাইতে নিচে৷ দার্জিলিং ছাড়াও কালিম্পং এবং কার্শিয়াংয়ের তাপমাত্রা ছিল সাত ডিগ্রির নীচে। আগামী পাঁচ দিন দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রির নীচে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস৷

এদিকে করোনা বিধিনিষেধের জন্য শনিবার দিনভর বন্ধ রাখা হল জলপাইগুড়ি শহরের বিবেকানন্দ মিনি মার্কেট, পুলিশ লাইন, গান্ধী মোড় ও নয়াবস্তি এলাকা। বাজার ও দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ থাকায় প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় এই এলাকা। দোকান ও দুটি বাজার বন্ধ থাকার জন্য এদিন এই এলাকায় তেমন যানবাহন‌ও দেখা যায়নি। বিবেকানন্দ মিনি মার্কেট বাজার‌ও ছিল একেবারেই লোক শূন্য অবস্থায়। করোনা বিধিনিষেধের জন্য গত ২০ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে পর্যায়ক্রমে এই বনধ পালন করা হচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে সরকারি সিদ্ধান্ত কি হবে তা পুরসভার ঘোষণার পর‌ই জানা যাবে। গত দশ দিনে শহরের কয়েকটি এলাকায় ধাপে ধাপে বন্ধ রাখার জন্য শহরে করোনা সংক্রমন কিছু‌টা কমেছে বলে দাবি পুর কর্তৃপক্ষের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *