আলুর দামে বিভ্রান্তি, মিড-ডে মিল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষক সংগঠনের

আলুর দামে বিভ্রান্তি, মিড-ডে মিল নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষক সংগঠনের

11f064ceeb148a3e2e982c8ba478608b

কলকাতা: কোভিড ১৯ ভাইরাসের জেরে যে সঙ্কটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েও পড়ুয়াদের খাদ্যসামগ্রী বিলি করার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। মিড-ডে মিল দেওয়ার ক্ষেত্রে আলুর দাম যা বরাদ্দ করা হয়েছে, তার চেয়ে বর্তমান বাজারদর অনেক বেশি হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষকরা। এছাড়া পড়ুয়াদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি বাবদ অর্থও মিড-ডে মিলের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কেটে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং সেই সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগণা শাখা সেই সমস্যা মেটানোর দাবিতে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতির জেরে নতুন করে লকডাউন জারি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। এই অবস্থায় চতুর্থ দফায় পড়ুয়াদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিলির কাজ করছে স্কুলগুলি। তবে সরকারের সেই ব্যবস্থা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এবং সেই সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগণা শাখা। মঙ্গলবার সেই সংক্রান্ত একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বিকাশভবনে। সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, শিক্ষামন্ত্রীর নিকট বাজারদর অনুযায়ী আলুর দাম বৃদ্ধি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যয় মিড-ডে মিলের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

তাঁরা জানিয়েছে, লকডাউনে মধ্যে চতুর্থ দফায় চাল, আলুর সঙ্গে ২৫০ গ্রাম করে ডাল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। তবে খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে আলুর দাম বরাদ্দ করা হয়েছে ২২ টাকা প্রতি কেজি। অথচ বর্তমান বাজারে ২৫ টাকার নীচে আলু পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। তার ওপর তা বয়ে আনতে অতিরিক্ত খরচও রয়েছে। অন্যদিকে অঙ্গনওয়ারির ক্ষেত্রে আলুর দাম প্রতি কেজি ২৬ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠন।

এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা সমস্যায় পড়ছেন। শুধু আলু নয়, স্যানিটাইজার বিলি বাবদ অর্থ কেন মিড-ডে মিলের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষক সংগঠন। তাদের দাবি, বর্তমান সঙ্কটজনক পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পড়ুয়াদের দু'বেলার হিসেবে পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করতে হবে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে 'বিমাতৃসুলভ আচরণ' বলে আখ্যা দিয়েছেন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *