ঘূর্ণিঝড় ফনি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়লেও তার কিছুটা প্রভাব এসে পড়বে পশ্চিমবঙ্গে। আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে ওড়িশায় আছড়ে পড়ার পর গতি হারালেও ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখগ হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের উপকূল এলাকায় কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি সম্ভাবনা আছে। আর তাই গোটা পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রেখে সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন৷
ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে কী ধরনের বিপর্যয় হতে পারে তার খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছে নবান্ন। তাছাড়া প্রশাসনিক মহলেও একাধিক বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে গোটা বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন। শুধু তাই নয় ঝড়ের জন্য ২৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে৷
ঘূর্ণিঝড় ফনির শক্তি আরও বেড়েছে৷ নৌসেনা তরফে জানান হয়েছে, মঙ্গলবার রাতের দিকে ঘূর্ণিঝড়টি ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্মে’ পরিণত হয়েছে। স্বভাবতই তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে চূড়ান্ত সর্তকতা জারি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে শুক্রবার ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার মধ্যে থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন ভুবনেশ্বরের হাওয়া অফিসের অধিকর্তা এইচআর বিশ্বাস। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। এদিকে প্রশাসনের তরফে পুরীতে থাকা পর্যটকদের বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে এলাকা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে৷