তমলুক ও মেদিনীপুর: ফনি রাজ্যে ঢোকার আগেই শুক্রবার সকালে কয়েক সেকেন্ডের ঝড়ে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল। প্রচুর বসত বাড়ি, প্রাথমিক স্কুলের ছাউনি উড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি ও প্রচুর গাছপালা ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে।
ঝড়ের সময় বাজ পড়ে গোয়ালতোড়ের বীরবান্দি গ্রামে এক বালকের মৃত্যু হয়। তার নাম ভৈরব সাউ (১১)। এছাড়াও তিন জেলায় চার শিশু সহ মোট ন’জন জখম হয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার ২৩ হাজারের বেশি মানুষকে মাটির বাড়ি থেকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি আশ্রয়স্থলে প্রায় ছ’হাজার মানুষকে নিয়ে আসা হয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় এনডিআরএফের দু’কোম্পানির আরও দু’টি টিম এদিন পূর্ব মেদিনীপুরে এসেছে। এছাড়া কুইক রেসপন্স টিম, স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম, বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দপ্তরের টিম তৈরি রাখার পাশাপাশি রাতভর তিন জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা রাখা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ঝড়ে ৩৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১৩০ জন বাসিন্দাকে ৬৮টি ফ্লাড সেল্টার ও স্কুলভবনে সরানো হয়েছে।